স্বামীর দাবি স্ত্রী অক্ষম, বিয়ের পর যৌনমিলন হয়নি! স্ত্রী যা বললো শুনে আদালতও চমকে উঠলো!
ডিভোর্সের মামলায় স্বামীর দাবি ছিল, স্ত্রী শারীরিক মিলনে অক্ষম। তাই বিয়ের পরে একবারও তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক হয়নি। স্বামীর এই দাবি স্ত্রী মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি ছিল, ২০১১ সালে বিয়ের পরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল তাঁদের। দু’পক্ষের দাবি যাচাই করে দেখতে স্ত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বইয়ের একটি পারিবারিক আদালত। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে রাজি হননি স্ত্রী। পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু বম্বে হাইকোর্টও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, স্বামীর সঙ্গে তাঁর শারীরিক সম্পর্ক ছিল তা প্রমাণ করতে গেলে ওই মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষা দিতেই হবে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২০১১ সালে ডিভোর্সের আবেদন জানিয়ে এই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ডিভোর্সের আবেদন জানিয়ে স্বামী দাবি করেছিলেন, তাঁর স্ত্রী শারীরিক মিলনে অক্ষম। ২০১০ সালে ৩৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৩৩ বছর বয়সি মহিলার বিয়ে হয়েছিল। দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পরে একবারও স্ত্রী শারীরিক মিলনে রাজি হননি। সেই কারণেই তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে ২০১১ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন স্বামী। গত জুলাই মাসে মামলার শুনানি চলাকালীন মুম্বইয়ের পারিবারিক আদালত ওই মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে স্ত্রী বম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু স্ত্রীর আইনজীবীর যুক্তি নাকচ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের নির্দেশই বজায় রাখে বম্বে হাইকোর্ট।
মন্তব্য চালু নেই