বঙ্গবন্ধু ঘোষিত প্রথম নিরক্ষরমুক্ত গ্রাম স্বাক্ষরতা ঝুঁকিতে (ভিডিও)
স্বাক্ষরতা ঝুঁকির মুখে দেশের প্রথম নিরক্ষরমুক্ত গ্রাম ঠাকুরগাঁওয়ের কিষ্টপুর। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কিষ্টপুর গ্রামকে প্রথম নিরক্ষরমুক্ত গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। নিরক্ষরতা মুক্তির কার্যক্রমের সাথে জড়িত কর্মীদের দাবি, শিক্ষা উপকরণ ও টাকার অভাবে কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধের পর নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশকে শিক্ষার আলো দেখাতে মোকছেদ আলী নামের এক ব্যক্তি নিজ গ্রামকে নিরক্ষরমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি সফলও হয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে মোকছেদ আলীর কাছে থেকে অক্ষর জ্ঞান পাওয়া অনেকেই জানান, সরকারি সহায়তা ছাড়াই মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে গ্রামকে নিরক্ষরমুক্ত করেছিলেন তিনি। ১৯৭৪ সালে তিনি পেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি পদক। গ্রামবাসীরা মধ্যে একজন বলেন, ‘তিনি নিজ উদ্যোগে গ্রামকে নিরক্ষর করেছেন কিন্তু কখনোই কোন বিনিময় চাননি।
মোকছেদ আলীর পরে তাঁর ছেলে আল-আমীন আশেপাশের গ্রামগুলোকেও নিরক্ষরতা মুক্তির জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাকা এবং শিক্ষা উপকরণের অভাবে তিনি কাজ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ৪ মাস কোন প্রকার সরকারি অনুদান না পেলেও, খাতা কলম বই পুস্তক সংকটেও আমরা নিজ খরচে কিষ্টপুর ক্লাবটি চালিয়ে যাচ্ছি।’
গ্রামটিতে পাঠাগার তৈরিসহ পাঠ্যবইয়ে মোকছেদ আলীর তুলে ধরা দরকার বলে মনে করেন জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা। ঠাকুরগাঁও শিক্ষা অফিসার মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এরকম একটি গ্রাম ১৯৭২ সালে নিরক্ষরমুক্ত হয়েছিলো, সেই ইতিহাস তুলে ধরার জন্য পাঠ্য পুস্তকেও যদি অন্তর্ভুক্ত করা যায় বা যেকোন উপায়ে প্রজন্মকে জানানো যায় তাহলে এখান থেকে তার অনুপ্রাণিত হবে।’ বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা এবং এলাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এলাবাসী। সূত্র : একাত্তর টিভি।
এ বিষয়ে একাত্তর টিভি’র একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে এখানে ক্লিক করুন
মন্তব্য চালু নেই