বাড়ছে আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ছে। কমিটিতে অন্তত আটটি পদ বেড়ে ৭৩ সদস্য থেকে ৮১-তে উন্নীত করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতিমণ্ডলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দুটি করে পদ, সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদ এবং প্রশিক্ষণবিষয়ক একটি সম্পাদকীয় পদ বাড়তে পারে।
রোববার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটির সভায় কার্যনির্বাহী সংসদের আকার বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়।
বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে ১৫ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ৩২ জন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৬ জন সদস্য রয়েছেন। এর আকার বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের দুজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ১৬ কোটি মানুষের দেশে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি মাত্র ৭৩ সদস্যের। এটা বাড়ানো প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বিভিন্ন সভায় এর ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগ মনে করে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ কার্যনির্বাহী সংসদের পদের সংখ্যা অন্যান্য দলের মতো ‘ঢাউস’ করা হবে না। কমিটি হবে আঁটসাঁট। যেন নিয়মিত বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত গঠনতন্ত্র উপকমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘যে নেতারা অভিজ্ঞ, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অবদান রাখবেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাবেন। আমাদের গঠনতন্ত্রে যে কমিটির আকার রয়েছে, সেটা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দুজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, দুজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের পদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে নতুন বিভাগ হয়েছে। কিন্তু ওই বিভাগের আমাদের কোনো সাংগঠনিক সম্পাদক নেই। এ ছাড়া সরকার কুমিল্লা ও ফরিদপুরে নামে আরও দুটি বিভাগ করার ঘোষণা দিয়েছে। এ জন্য এ দুটি বিভাগেও সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সৃষ্টি করা হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক নামে নতুন একটি পদের প্রস্তাব দেওয়া হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের আমাদের সুপারিশ দলের কার্যনির্বাহী সভায় আলোচনা হবে। সেখান থেকে সুপারিশ আকারে আগামী সম্মেলনে যাবে এবং এর চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র ডেলিগেটদেরই।’ গঠনতন্ত্রে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন-প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গঠনতন্ত্র উপকমিটির আরেকজন সদস্য বলেন, কমিটির আকার বাড়বে এটা নিশ্চিত। তবে তা ৮১–এর বেশি হবে না। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি নামে আরেকটি পদের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সদস্যসংখ্যা কমিয়ে আনা হতে পারে। তিনি বলেন, এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের বিষয়টি গঠনতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত হবে।
মন্তব্য চালু নেই