ফ্রিল্যান্সিং থেকে বছরে আয় ১শ’ মিলিয়ন ডলার
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং খাত থেকে বছরে ১০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের কোটা পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্য বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া।
ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা আর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন অসম্ভব নয় বলে মনে করেন তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা। এজন্য সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে তরুণদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে এনজিও’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন অজন্তা রিজওয়ানা। মাতৃকালিন ছুটিতে যাওয়ায় কর্মস্থলে ছেদ পরে তার। ঘরে বসে থাকা অবসর সময়ে খোঁজ পান ফ্রিল্যান্সিংয়ের।
পরেরটুকু শুধুই সাফল্যের গল্প। সন্তানের দেখভাল করতে করতে বাড়িতে বসে থাকা অজন্তা দু’ বছরের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে আয় করেছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা।
ফ্রিল্যান্সার অজন্তা রিজওয়ানা জানান, ছুটি শেষে চাকরিতে ফেরার সময় তার মনে হয়, এটাই করতে থাকি। কেননা এটা সবদিক দিয়েই সুবিধাজনক।
তিনি বলেন, ‘এ কাজটিতে খুব বেশি নমনীয়তা আছে। আমি আমার ইচ্ছা মতো কাজ নিতে পারি। চাইলে কিছুদিন বিরতি নিতে পারি।’
দুনিয়াজুড়ে আউটসোর্সিংয়ে এখন ৪ হাজারের বেশি খাত, তবে এর মধ্যে বাংলাদেশিরা কেবল একশ’র মতো খাতের সঙ্গে যুক্ত। প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজেদের তৈরি করার দিকে নজর দিচ্ছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক জানান, প্রায় দু’লাখের মতো মানুষকে আউটসোর্সিংয়ের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এর ফলে অন্যান্য আরও বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর এই সেক্টরে কর্মসংস্থান হবে।
বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির পেছনে ঘোরার চেয়ে আমাদের দরকার সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের চাকরির ব্যবস্থা করা। কেননা তাদের বেকারত্ব সবচেয়ে বেশি।
দেশে এখন নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার ৫ লাখ, তার অর্ধেকই অবশ্য সক্রিয় নন। তাদের সক্রিয় করতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
মন্তব্য চালু নেই