মানুষ হত্যা করে বেহেস্তে যাওয়া যাবে না : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের সাম্প্রতিক জঙ্গি উত্থানে দেশি-বিদেশি চক্রের হাত রয়েছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আগুন সন্ত্রাসের মতো জঙ্গিবাদ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। যারাই এসব কুকর্মে লিপ্ত রয়েছে তাদের জানা উচিত মানুষ মেরে বেহেস্তে যাওয়া যায় না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের বিয়ানীবাজার প্রশাসন আয়োজিত বিয়ানীবাজার উপজেলার সব শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, ইমাম, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণে জঙ্গি-সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কোনো ধর্মই মানুষ হত্যাকে সমর্থন করে না। দেশের আপামর মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে এদেশকে স্বাধীন করেছে। ত্রিশ লাখ শহীদের পবিত্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মানচিত্রের সম্মান রক্ষা করতে এদেশের মানুষ জঙ্গি-সন্ত্রাস ও নাশকতাকে উৎখাত করবে।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী উন্নয়ন সঞ্চয় ব্যাংকের নবনির্মিত ভবন ও ভূমিহীন মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন, শিক্ষার্থীদের অনুদান, বয়স্কভাতা ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে আইডি কার্ড বিতরণ, পিএইচজি স্কুলমাঠে আয়োজিত ফলদ ও বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন এবং বৈরাগীবাজার আইডিয়াল কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষক-অভিভাবক সবার উচিত আগামী প্রজন্মের দিকে লক্ষ্য রাখা। যারা আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে তাদেরকে যত্ন সহকারে আমাদেরকে তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো গাফলতি করা চলবে না।

মধ্যমআয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার দোরগোড়ায় থাকা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে ভিখারির দেশে পরিণত করতে একটি বিশেষ মহল যড়যন্ত্র করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে গুলশানে হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি ২০ জনকে হত্যা করলো, ঈদের দিন শোলাকিয়ায় হামলা করে পুলিশ হত্যা করলো- যারাই এসব কুকর্ম করেছে, এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে তারা ইসলামের শত্রু, এদেশের আপামর মানুষের শত্রু।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মু. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কর্নেল মো. নেয়ামুল কবির, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ, শিক্ষা অধিদফতরের নির্বাহী পরিচালক নজরুর হাকিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শিব্বির আহমদ, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি শিক্ষাবিদ আলী আহমদ, সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ কলা, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাবুল ও জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই