অবশেষে সিনেমার সেসব দৃশ্যের গোপন রহস্য ফাঁস!
রুমাল তো বিড়াল হয়েছিল সুকুমার রায়ের আবোল তাবোলে। অত্যাধুনিক যুগে তা হয় কিন্তু মাউসের দু’চার ক্লিকে। গালভরা নাম তার ভিএফএক্স বা ভিজুয়াল এফেক্টস। কিন্তু এটা কি খায়, না মাথায় মাখে? আসলে কিছুই নয়। নায়িকাকে গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে, আর নায়ক পাহাড় থেকে ঝাঁপ মেরে তাকে উদ্ধার করছে। চোখের নিমেষে সভ্যতার পত্তন হয়, খাঁ খাঁ মাঠের উপর গড়ে উঠে বিশাল বিশাল রাজপ্রাসাদ। সব তো এই ভিজুয়াল এফেক্টসের বদৌলতেই। তবে আর বলছি কী? তাহলে দেখে নেয়া যাক, কী কী করতে পারে এই ভিএফএক্স বা ভিজুয়াল এফেক্টস।
বাহুবলী সিনেমার একটি দৃশ্যে রুমালের বদলে ছিল সবুজ রং মাখা এক ব্যক্তি, হাতে তার নকল মোষের মাথা। আর পর্দায় হয়ে গেল বিশালাকার এক মোষ। বাহুবলীতে যাকে দেখা গিয়েছিল রাণার সঙ্গে যুদ্ধ করতে।
বাহুবলীর সেই বিখ্যাত দৃশ্য। শিশুটিকে হাতে নিয়ে নদীর পানিতে মাথা লুকিয়ে হাত উঠিয়ে রাখেন তার মা। কিন্তু সেই স্থানে শুটিংয়ের সময় শিশুর বদলে ছিল একটি বোতল!
ঝর্নার সামনে অবন্তিকা। তবে আসল ঝর্না নয় ভিজুয়াল এফেক্টসের কারসাজি।
রাজপ্রাসাদের সিকোয়েন্স। কিন্তু সত্যিকারের কোনো রাজপ্রাসাদ ছিল না সেখানে। সবটাই গ্রাফিক্সের কেরামতি।
পিকে সিনেমাতে আমির খান। অত লোকের মধ্যে তো নয়ই, বরং স্টুডিওর মধ্যে হয়েছিল সেই দৃশ্যের শুটিং। এর পরে ‘ক্রোমা কি’ টেকনিকের সাহায্যে বাকি সিনারিওগুলো তৈরি করা হয়েছিল।
‘কিক’ ছবির একটি দৃশ্যে পিছনে দানবের মতো এগিয়ে আসছে ট্রেন। আর তার সামনে দিয়েই প্রাণ হাতে করে দিব্যি ভাবলেশহীন ভাবে হেঁটে রেললাইন পার হচ্ছেন সালমান খান। গ্রাফিক্সের ম্যাজিকেই সম্ভব হয়েছিল।
‘লাইফ অব পাই’ সিনেমাটিতে ‘পাই’য়ের সহযাত্রী এই বাঘটিকে সিনেমার পর্দায় দেখতে দেখতে এক বারের জন্যেও মিথ্যে বলে মনে হয়নি। অথচ তাকে তৈরি করা হয়েছিল কম্পিউটার গ্রাফিক্সে।
নির্জন-গভীর সমুদ্র নয়। চার দেয়ালের মধ্যেই আসলে ‘হারিয়ে’ গিয়েছিল ‘পাই’।
অবশেষে ‘পাই’ একটা দ্বীপের সন্ধান পায়। সেখানে নোঙরও করে। সেখানে কী ভাবে তৈরি হয়েছিল মাঝ সমুদ্রের সেই দ্বীপ এর সবই কম্পিউটার গ্রাফিক্সের কাজ।
‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’-এ সন্ধ্যা নামার ঠিক আগে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে দীপিকাকে প্রেম নিবেদন করছেন শাহরুখ। আসলে সেই প্রেম নিবেদনের স্থানটি ছিল স্টুডিও।
মনে মনে হয়তো ভাবেন আকাশ থেকে ঝুলে, পাহাড়ের চূড়ায় উঠে কী রোমান্টিক প্রেম করেন নায়ক-নায়িকা! আসলে ‘চাঁদনি চক টু চায়না’তে অক্ষয় আর দীপিকা ঘরের মধ্যেই ঝুলছিলেন।
‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এ ফারহান দৌড়লেন ফাঁকা স্টেডিয়ামে। পর্দায় তা হয়ে গেল দর্শক বোঝাই মাঠ।
‘জঙ্গল বুক’-এর শুটিং। কোথায় সেই ঘন জঙ্গল আর কোথায় সেই বাঘিরা, শের খান, কা, রক্ষা আর বালু। সবই তৈরি হয়েছে কম্পিউটারের ছোট্ট স্ক্রিনেই।
মা ‘রক্ষা’র সঙ্গে কথা বলছে মোগলি। আসলে একটা নেকড়ে মাথা।
‘ওজেড দ্য গ্রেট অ্যান্ড পাওয়ারফুল’ ছবিতে ঝর্নাটা আসলে স্টুডিওতে কাপড় পেতে করা হয়েছিল।
‘অ্যালিস ইন দ্য ওয়ান্ডার ল্যান্ড’-এর অসাধারণ নৈস্বর্গিক লোকেশন আসলে তৈরি হয়েছিল গ্রাফিক্সে।
মন্তব্য চালু নেই