বিয়ের বছর পরেই স্ত্রীর দেহগঠন আগের মতো নেই? জেনে নিন কী ভুল করছেন প্রতিদিন…

নারীর দেহগঠন নষ্ট হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে যৌনাঙ্গ স্থায়ীভাবে প্রশস্ত হওয়া একটি। যেসব কারণে নারীর যৌনাঙ্গ স্থায়ীভাবে প্রশস্ত হয়ে যায়, সেগুলো হলো :

 অতিমাত্রায় যৌনমিলন
 অপরিণত বয়সে যৌনমিলন
 নরমাল ডেলিভারিতে এপিসিওটমিতে (প্রসবের রাস্তা কেটে দেয়া) ক্ষতিগ্রস্ত যৌনাঙ্গ
 প্রিসিপিটেট লেবারে ক্ষতিগ্রস্ত যৌনাঙ্গ (ডেলিভারি প্রক্রিয়ার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ দুই ঘণ্টার চেয়ে কম সময়ে শেষ হওয়া)
 বয়স্ক মহিলাদের হাঁচি বা কাশির সাথে প্রস্রাব ঝরে পড়া
 স্বল্প সময়ে বারবার অদক্ষ হাতে এমআর ও ডিঅ্যান্ডসি করানো

১. অতিমাত্রায় যৌনমিলন : জীবনের তাগিদে অনেক সময় অপরিণত বয়সে অনেকেই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বিয়ের আগে এক বা একাধিক পুরুষের সঙ্গে মিলিত হয়ে থাকে এবং মাত্রাতিরিক্ত যৌনমিলনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেকেই আবার বিয়ের আগে একাধিকবার এমআর করে থাকে, যার কারণে যৌনাঙ্গ অকালেই প্রসারিত হয়ে যায়। ফলে দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই নানাবিধ জটিলতা দেখা দেয়।

২. অপরিণত বয়সে যৌনমিলন : আমাদের সমাজে বাল্যবিবাহ একটি বহুল প্রচলিত সামাজিক সমস্যা। বাল্যবিবাহে সাধারণত ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয়। বয়স কম থাকার ফলে এই বয়সী মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিপক্বতা লাভ করে না এবং অপরিপক্ব বয়সে দৈহিক মিলনের ফলে নারীর যৌনাঙ্গ বা যোনীপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। এতে পরিণত বয়সে পুরুষ সঙ্গীটি যৌনমিলনে আর স্বাভাবিক তৃপ্তি পায় না। ফলে দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহ, বিবাহবিচ্ছেদ, পরকীয়া প্রেমের মতো ঘটনাও ঘটে থাকে।

৩. নরমাল ডেলিভারি : নরমাল ডেলিভারিতে স্বাভাবিকভাবেই নারীর প্রসবের রাস্তা বড় হয়ে যায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাংসপেশী দুর্বল হয়ে যায়। তা ছাড়া বড় মাথার বাচ্চা বা উল্টো ডেলিভারির (Breech Delivery) বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাচ্চার জীবন বাঁচানোর জন্য পেরিনিয়াল মাংসপেশি কাটতে এপিসিওটমি (Episiotomy) অপারেশন করাতে হয়, যা সেলাই করার পরও আগের মতো স্বাভাবিক হয় না। এর ফলে নারীর যৌনীপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুর্বল মাংসপেশির জন্য প্রসবের রাস্তা স্থায়ীভাবে প্রশস্ত হয়ে যায়।

৪. প্রিসিপিটেট লেবার : ডেলিভারিতে ডেলিভারি-প্রক্রিয়ার প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ দুই ঘণ্টার চেয়ে কম সময়ে সম্পূর্ণ হয়, ফলে সারভাইকাল টেয়ার (সারভিক্স ছিলে যাওয়া), থার্ড ডিগ্রি পেরিনিয়াল টেয়ার (ভেজাইনাল টিস্যু, পেরিনিয়াল স্কিন, পেরিনিয়াল মাংসপেশি থেকে শুরু করে পায়ুপথের মাংস পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়)। সাধারণত সেলাই করার পরও আগের মতো স্বাভাবিক হয় না, ফলে নারীর যৌনীপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রসব-পরবর্তী সময়ে প্রসবের রাস্তা স্থায়ীভাবে প্রশস্ত হয়ে যায়।

৫. প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা (Urinary incontence in Female) : নিম্নাঙ্গের মাংসপেশি দুর্বলতার কারণে অনেক নারীই প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না। নরমাল ডেলিভারিতে যোনীপথের মাংসপেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মূত্রথলি ওপর থেকে নিচে নেমে আসে এবং মূত্রথলির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে হাঁচি-কাশিতে প্রস্রাব বের হয়ে যায়, এমনকি বাথরুমে যাওয়ার আগেই ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব পড়তে থাকে।

৬. স্বল্প সময়ে বারবার অদক্ষ হাতে এমআর ও ডিঅ্যান্ডসি করানো : আমাদের সমাজে বহুগামিতা থেকে শুরু করে নানাবিধ ত্রুটিপূর্ণ যৌন আচরণের ফলে অগণিত নারী নীরবে অসুন্দর ও প্রশস্ত যোনীপথের সমস্যায় দিনাতিপাত করছে। এ-জাতীয় সমস্যার কারণে নারী যখন তার সঙ্গীকে সঠিকভাবে যৌনসুখ দিতে পারে না, তখন পুরুষেরা তার সাথে সম্পর্ক ছেদ করতেও সামান্য দ্বিধাবোধ করে না।

এত দিন যাবৎ এ সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো উপায় না থাকায় নারীদেরকে নীরবে মুখ বুজে কষ্ট সহ্য করতে হত। বর্তমানে লেজার সার্জারির মাধ্যমে কোনো ধরনের কাটা-ছেঁড়া ছাড়াই স্বল্প সময়ে সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাচ্ছে। নারীর প্রশস্ত হয়ে যাওয়া যোনীপথকে নিরাপদে সংকুচিত করে যৌবনের আটসাট গঠন ফিরিয়ে দেয়ার অত্যাধুনিক চিকিৎসা লেজার ভ্যাজাইনোপ্লাস্টি (Laser Vaginoplasty ) এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই