হ্যাঙ হওয়া বিএনপির রিষ্টার্ট প্রচেষ্টা

দীর্ঘদিন ধরে হ্যাঙ হয়ে থাকা দলকে রিষ্টার্ট দিতে গিয়ে একক নেত্রী খালেদা জিয়া কি বিএনপিকে আবারও হ্যাঙ করে দিচ্ছেন? এই প্রশ্ন এখন তার দলের ভেতরে- বাইরে মোটামুটি প্রকাশ্য। দলের বেশকিছু নেতা ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন অনেকে, তালিকায় নাম আগামীতে হয়তো আরো ভারী হবে। বিএনপির মত একটি নির্বাচনমুখী ও ক্ষমতাভিলাষী দল দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা ও নির্বাচনের বাইরে থাকায় অভ্যন্তরে সৃষ্ট সংকট অতিক্রম করতে পারছে না। অতীতেও এ ধরণের সংকট দেখা দিয়েছে, তবে এবারের প্রেক্ষাপট অনেকটা ভিন্ন। পরিস্থিতি যাই হোক, জাতীয়-নির্বাহী-স্থায়ী, সব মিলিয়ে ঢাউস একটি কমিটির মালিক এখন খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যে বলে থাকেন, “অত্যন্ত ভাইব্র্যান্ট ও ডায়ানমিক কমিটি হয়েছে। আশাকরি এই কমিটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে”। প্রশ্ন হচ্ছে, পোড় খাওয়া সলিড রাজনীতিবিদ মির্জা ফখরুল নিজেও তার এ কথা কি বিশ্বাস করেন? কিম্বা তার মতে, এই কমিটি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন গণতন্ত্র, কার গণতন্ত্র। জিয়া পরিবারের গণতন্ত্র, নাকি বর্তমানে জিয়া পরিবারসহ বিএনপির প্রয়াত: ও বর্তমান নেতাদের পরিবারের জন্য সবকিছুকে অবাধ করে দেয়ার গণতন্ত্র?

একসময়ে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-চলচ্চিত্রে চৌধুরী পরিবার, সৈয়দ পরিবার নামের সামন্ত ভগ্নাবশেষ প্রত্যক্ষ করা গেছে, একবিংশ শতকের বাংলাদেশে সেরকম কিছু পরিবারের দখলে বাংলাদেশের রাজনীতি। যারা জমিদারতন্ত্র বা ভূস্বামীদের কায়দায় রাজনীতিতে জাঁকিয়ে বসে আছেন, গণতন্ত্রের কথা বলে দল অথবা জাতিকে শাসন করছেন প্রাচীন সামন্ততান্ত্রিক কায়দায়।

গণতন্ত্রের সাথে সামন্ততন্ত্র, জমিদারতন্ত্র, পরিবারতন্ত্রের ধ্যান-ধারণা একক সিদ্ধান্ত, কর্তৃত্ববাদীতা কখনই যায় না। তারপরেও গণতন্ত্রের নামে এই চর্চা দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলে রয়েছে সর্বগ্রাসী আকারে। সেজন্যই দলের তৃণমূল থেকে যে কোন কমিটি, নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই বা মনোনয়ন, সর্বোপরি যেকোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় একক কর্তৃত্বে। আর ক্ষমতাসীন দলের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই, প্রশ্ন বা বিতর্ক ছাড়াই একক সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়। ক্ষমতার বাইরে অবশ্য চুপে-চাপে কখনও ক্ষোভ-বিরক্তি প্রকাশিত হয়, আবার কুইনাইন গেলার মত গিলেও ফেলা হয় পদ-পদবী রক্ষায়।

সুতরাং বিএনপি পাঁচ শতাধিক সদস্য বিশিষ্ট ঢাউস কমিটি ভাইব্র্যান্ট বা ডায়নামিক এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারকারী- যাই বলা হোক, এ নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। অনেকে ইতিমধ্যেই মিডিয়ায় প্রকাশ্য হয়েছেন এবং মনোভাব প্রকাশ করতে কসুর করছেন না। সম্মেলনের চারমাস পরে খালেদা জিয়ার একক কর্তৃত্বে মনোনীত ও ঘোষিত পূর্নাঙ্গ কমিটিতে সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী স্থায়ী কমিটি এখনও অপূর্ণাঙ্গ। কমিটি তৈরীতে বেগম জিয়ার আশপাশের কয়েকজন হালে গজিয়ে ওঠা নেতা এবং বিশ্বাস, রায় ও আহমেদদের প্রভাব আছে- এটিও বিএনপির একটি বড় আলোচিত ইস্যু। এছাড়া এই কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে অর্থ কেলেংকারির কথাও চালু আছে।

ফল দাঁড়িয়েছে নতুন কমিটিতে নেতাদের সিনিয়ারিটির ক্রম রক্ষা হয়নি। আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগী নেতা-কর্মীরা ছিটকে পড়েছেন। বদলে জায়গা হয়েছে এর আগে কোন কমিটিতে ছিলেন না, এমন নেতা-কর্মীদের। কেন্দ্রীয় অনেক নেতার ভাই, স্ত্রী-সন্তান-পুত্রবধুগন কমিটিতে পদ পেয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে খালেদা জিয়া সবচেয়ে সহানুভূতিশীল থেকেছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে দন্ডপ্রাপ্তদের সন্তানদের প্রতি। এটি কি ঐসব নেতাদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা বা ঋন পরিশোধ? এটিকে মিডিয়ায় অগণতান্ত্রিক হিসেবে দাবি করেছেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, সমস্ত ক্রম ভেঙ্গে যখন তারেকের জন্য সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পদ সৃষ্টি হয়েছিল, সেখান থেকে একলাফে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়, তখন কেউ টুঁ শব্দ করেননি।

দলের স্থায়ী কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ার খুব বিকল্প ছিল না। কয়েকজন সিনিয়র নেতা মারা গেছেন, জড়াক্রান্ত কয়েকজন। সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও জালিয়াতির মামলাসহ দুর্নীতির অনেকগুলো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। খোদ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কমবেশি এক কুড়ি মামলা বিচারাধীন। গলা ফাটিয়ে বা চিৎকার করে যতই তারা এ মামলাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত বা জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেবার চক্রান্তই বলুন, সেটি তাদেরকে আদালতেই প্রমাণ করতে হবে।

বাংলাদেশে ধর্মীয় জঙ্গীবাদের উত্থানের পেছনে বিএনপি নেতৃত্বের একাংশের পৃষ্ঠপোষকতা সম্পর্কে সকলেই জানেন। আবার তাদের আমলেই বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার ও বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়। এতকিছুর পরেও বিএনপি নেতৃত্বের একটি অংশের এখনও জঙ্গীবাদের সাথে সম্পর্ক ও যোগাযোগ নিয়ে অভিযোগ বিষয়টি দলের নেতৃত্ব স্বচ্ছতার সাথে মোকাবেলা করতে পারছে না। সাম্প্রতিককালে জঙ্গী হামলার ভয়াবহতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিল। ক্ষমতাসীনরা জামায়াতের সাথে জোট ও জঙ্গীবাদ সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে এ আহবান নাকচ করে দেয়।

এরকম একটি সময়ে কমিটি নিয়ে বিএনপির ভেতরকার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য ক্ষোভ-অসন্তোষ এবং জোট অভ্যন্তরে টানাপোড়েন দলটিকে নতুন সংকটের মুখোমুখি করেছে। জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ হিসেবে যে সব দলকে টানার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জোটের কয়েকটি নামসর্বস্ব দল। কমিটি নিয়ে অসন্তোষ, জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ নিয়ে বিতর্ক, জামায়াত নিয়ে দলে উপদেষ্টা ও বুদ্ধিজীবিদের প্রশ্ন এবং পরামর্শ- নতুন করে চাপে ফেলে দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বকে।

এরকম পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে না, বিএনপির জাতীয় ঐক্যের ডাক নামক রাজনৈতিক কৌশল খুব ফলপ্রসু হবে। এই উদ্যোগ এখনই থমকে গেছে। জঙ্গীবাদ বিরোধী ঐক্য প্রক্রিয়ায় জামায়াতের থাকা না থাকা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যেও প্রশ্ন রয়েছে। অন্যদিকে, জামায়াত সম্পর্কিত মন্তব্যের পর বিএনপির ভেতরে এবং মহাসচিবের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় আশাহত ‘দলের বুদ্ধিজীবি’ প্রফেসর এমাজ উদ্দিন আহমেদ ও ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শেষোক্তজন মিডিয়ায় বলেছেন, ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিএনপি এখন নিজেদের কমিটি নিয়েই ঝামেলায় আছেন।

জঙ্গীবাদ বিরোধী ঐক্য বা যে কোন বিষয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হলে বিএনপিকে একটি বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনআস্থা তৈরী করতে হবে। রাজনৈতিক দল হিসেবে জননির্ভর এবং জনগণকেও নির্ভরতা দিতে হবে। বিএনপির আচরনে উপর্যুক্ত শর্তগুলি একেবারেই অনুপস্থিত। তাদের জোটে রয়েছে যুদ্ধাপরাধী দল। এ বিষয়টি ট্রাম্পকার্ড হিসেবে বার বার খেলছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি যেন নিয়তির মত সে খেলা মেনে নিয়েছে। জামায়াতকে কেন সরকার নিষিদ্ধ করছে না- এই ভরসায় আছে বিএনপি।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে প্রয়াত জিয়াউর রহমান যে বিএনপি গঠন করেছিলেন, সেখানে ডান-বাম-মধ্যম ও দলছুট রাজনীতিবিদদের একটি সম্মিলন ঘটেছিল। ১৯৮১ সালে তার ট্রাজিক মৃত্যু ও পরের বছর এরশাদের ক্ষমতা দখল দলটিকে অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। আশির দশকে খালেদা জিয়ার অনমনীয় নেতৃত্বে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে মধ্যপন্থার একটি দল হিসেবে নব্বই দশকের শুরুতেই বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরেছিল। এতোদিনকার ক্ষমতার মধ্যে থেকে চলা বিএনপি এরশাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বিভিন্ন এক বিএনপি হিসেবে রূপান্তরিত ও আবির্ভূত হয়। এ কারণে ‘৯০ পরবর্তী বিএনপি’র ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ৯১-৯৬ সময়কালে বিএনপি ও তাদের সরকারের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। বেগম জিয়া এবং তার সরকারের অন্য সবাই আন্দোলন-সংগ্রামের কথা মনে রেখেই সরকার পরিচালনা করেছেন। এ কারণে ৯১-৯৬-এর বিএনপির সাথে আজকের বিএনপির বিস্তর এবং যোজন যোজন দূরত্ব।

কিন্তু ২০০১-০৬ সময়কালে খালেদা জিয়া, তার পুত্র ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে দলের ভেতরে যে দলটি গড়ে উঠেছিল, সেখানে তার কোন নিয়ন্ত্রন ছিল না। অপাত্যস্নেহের কারণে তিনি কখনই বুঝতে সক্ষম হননি যে, তার অপরিনামদর্শী পুত্রের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির কি পরিনতি হতে পারে। এজন্যই জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও রাজনীতিতে তারা গত সাত বছরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। এ সময়কালে কোন লক্ষ্যভেদী আন্দোলন তো দুরে থাকুক, খালেদা জিয়ার বহুল কথিত দল গুছিয়েই ওঠা হয়নি আর।

ক্ষমতার বাইরে প্রধান রাজনৈতিক দলের কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যন্ত সুদৃঢ় ঐক্য, সমন্বয় ও কর্মসূচি সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। ক্ষমতাভিলাষী এই দলের ভেতরে-বাইরে গত সাত বছরে উল্লেখিত বিষয়গুলি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দলের ক্ষমতার একটি কেন্দ্র লন্ডনে, একটি গুলশানে, অন্যটি রয়েছে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতার বৈঠকখানায়। কতগুলি অরাজনৈতিক মানুষ-সাবেক আমলা-কর্মচারী, দলের নীতি নির্ধারনে প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রধান নেতাদের বিরুদ্ধে এন্তার দুর্নীতির অভিযোগ। এই সুযোগটি নিয়েছে সরকার। গত সাত বছরে মামলা-হামলার জালে জড়িয়ে খেলছে ক্ষমতাসীনরা, বুঝে- না বুঝে সেই খেলায় সামিল রয়েছে বিএনপি।

দলের মহাসংকটকালে বিএনপির মধ্যে ঐক্য নেই। দলের মধ্যে দল, উপদল, আত্মীয়করণ, সর্বোপরি কোন কাঠামোয় গণতন্ত্র চর্চা না থাকায় এই দল কতটা কার্যকর হবে আগামীতে সেটি নিয়ে মন্তব্য করারও প্রয়োজন হবে না। বিএনপির অভ্যন্তরে ক্ষোভ-অসহিষ্ণুতা বাড়তে থাকলে খালেদা জিয়া যতই দলকে রিষ্টার্ট দেবার চেষ্টা করুণ, খুব বেশি পরিবর্তন আশা করা যায় না। নির্বাচনমুখী রাজনীতির ধারায় যেখানে বিশ্বাস হচ্ছে ঐক্যর সবচেয়ে বড় অনুঘটক, বলা চলে সেটিই বিএনপির ভেতরে-বাইরে প্রায় নেই। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের ডাকও ইতিমধ্যেই অসাড় হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে।

বাংলাদেশে এখন আমরা একটি অশুভ রাজনীতির বিকাশের কালপর্বে বাস করছি। উদার, উন্মুক্ততা নিয়ে খোলামেলা রাজনীতির বদলে দলগুলোর ভেতরে-বাইরে বিভেদ ও বিভাজনের দেয়াল তোলা রাজনীতি দেখা যাচ্ছে। সাবধান না হওয়া গেলে, ব্যক্তি-পরিবার-গোষ্ঠির স্বার্থের উর্ধে না উঠতে পারলে, বিভাজন বাড়তেই থাকবে। এ কারণে রাজনীতির জায়গা দখল করে নিচ্ছে বিদ্বেষ-প্রতিহিংসা। মাথাচাড়া দিচ্ছে অসহিষ্ণুতা উগ্রবাদ। এর বিপরীতে রাষ্ট্রাচার, সুবিবেচনা, দুরদর্শীতা- প্রায় হারাতে বসেছে।

চলতি বছর খালেদা জিয়া ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসে তার জন্মদিন পালন করেননি, কেক কাটেননি, কোন আনুষ্ঠানিকতা করেননি। এটিই রাজনীতির শিষ্টাচার, সুবিবেচনা ও দুরদর্শীতা। তার জন্মদিন ১৫ আগষ্ট কিনা এ নিয়ে যে সন্দেহ-বিতর্ক রয়েছে সেটিরও সমাপ্তি ঘটাতে পারেন তিনি। ১৯৯১ সালে ক্ষমতাসীন হবার পরে কার পরামর্শে এই দিনটিকে জন্মদিন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন, জানা যায়নি। তবে তার বর্তমান পদক্ষেপে রাজনীতিতে একটি শুভ সূচনা ঘটলে সেটি হবে জনগণের পরম প্রাপ্তি। সূত্র: আমাদের বুধবার



মন্তব্য চালু নেই