পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরে খনির গর্ত নিয়ে কিছু অবাক করা তথ্য
এই গর্তটির মূল্য প্রায় ১ লক্ষ ১৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি গর্ত নাকি এটাই! পূর্ব সাইবেরিয়ার মিরনি শহরের হিরে খনি।
মিরনিকে হিরের শহর বলা হয়। পৃথিবীর বুকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খনির গহ্বরে কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে জানার কৌতূহল রয়েছে সবারই। তাই আজকে রয়েছে রাশিয়ার এই খনি সম্বন্ধে কিছু অবাক করা তথ্য।
১. ১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ভূবিজ্ঞানী ইউরি খবরদিনের নেতৃত্বে একটি দল আবিষ্কার করেন এই হিরের খনি। তাঁরা কিছু কিমবারলাইট জাতীয় পাথরের মধ্যে হিরের সন্ধান পেয়েছিলেন।
২. এই আবিস্কারের জন্য ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বোচ্চ পুরস্কার লেনিন প্রাইজ দেওয়া হয় ইউরি খবরদিনকে।
৩. ১৯৫৭ সালে খনন শুরু হয়। ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই খননকার্য চালু ছিল। এরপর মির খনিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৪. ১৯৬০ সাল থেকে এই খনি থেকে প্রতি বছর এক কোটি ক্যারেট (২ হাজার কেজি) হিরে উত্তোলন করা হত। প্রথম দিকে খনির উপর স্তরে এক টন আকরিক থেকে ৪ ক্যারেট হিরে পাওয়া যেত।
৫. ১৯৮০-র ২৩ ডিসেম্বর কে বলা হত ২৬তম কংগ্রেস অব দ্য কমিউনিস্ট পার্টি অব দ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন। কারণ সেই দিনে সবচেয়ে বড় হিরে মিলেছিল খনি থেকে। ওজন ৩৪২.৫ ক্যারেট (৬৮ গ্রাম)।
৬. টানা ৪৪ বছর ধরে হিরে উত্তোলন করা হয় এই খনি থেকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর সাখা ডায়মন্ড কোম্পানি খননের দায়িত্ব পায়। শেষের দিকে আলরোসা কোম্পানি খনন চালায়।
৭. রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হিরের খনিতে ৩৬০০ কর্মী কাজ করত। এই খনির গভীরতা তৈরি হয়েছিল ১৭২২ ফুট ও চওড়া প্রায় এক মাইল।
৮. সূত্রের খবর, ২০১০ সালে একটি নির্মাণকারী সংস্থা এবি এলিসে পরিত্যক্ত খনিতে সৌর প্ল্যান্ট তৈরি করবে যেখানে এক লক্ষ মানুষ এর সুবিধা পাবে।
মন্তব্য চালু নেই