চোরাই কাঠসহ আটক সোহরাবকে ১ দিন পর ছেড়ে দিলো বনবিভাগের কর্মকর্তা !
দিনাজপুরের বিরামপুরে চরকাই রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলামসহ কয়েকজন কর্মচারী চোরাই কাঠসহ সোহরাব হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে ১ দিন পর ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে।
সোহরাব হোসেন খাঁনপুর ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে। অভিযোগ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোহরাব হোসেন বনবিভাগের ২০ থেকে ২৫ টি গাছ চুরি করে বিরামপুর বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যাওয়ার সময় মঙ্গলবার দুপুরে রবিউল ইসলামসহ বনবিভাগের কয়েকজন কর্মচারী আটক করে। অভিযোগকারী একজন জনপ্রতিনিধি জানান,সোহরাবকে চরকাই রেঞ্জ কার্যালয়ে আটকে রেখে ১৯ নভেম্বর বুধবার দুপুরে ত্রিশ হাজার টাকার বিনিময়ে বনবিভাগের লোকজন সোহরাব হোসেনকে ছেড়ে দেয়।
দিনাজপুরে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবির জানান, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
আমাদের প্রতিনিধিকে চরকাই রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান, গাছ চোর সন্দেহে সোহরাব হোসেনকে চোরাই গাছসহ আটক করা হয়। কয়েকজন সুপারিশ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে, উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ সঠিক নয়।
এদিকে, আটক সোহরাব হোসেনের স্বজনদের অভিযোগ, বনবিভাগ তাকে আটক করে হয়রানী করেছে। এর দায় অবশ্যই বনবিভাগের।
বন বিভাগের স্থানীয় আরেক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, চোরাই গাছসহ সোহরাব হোসেনকে আটক করা হয়েছিল। নানা চাপের কারনে তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বন কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বনবিভাগের আপোষ মনোভাব ও গোপন আতাতের ফলে খোদ চরকাই রেঞ্জের আশে-পাশের সংরক্ষিত বনাঞ্চল বিলিনের পথে। উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নজর না দিলে, ভূমিদস্যুদের দখলে চলে যাবে এই বিশাল বনাঞ্চল, এমটাই মনে করছে সচেতন জনগন। ছবি প্রতীকী
মন্তব্য চালু নেই