চোখ জ্বালাপোড়া ছাড়াই পেঁয়াজ কাটবেন যেভাবে
কাউকে কাঁদাতে চান? যাকে কাঁদাতে চান, তাকে একবার পেঁয়াজ কাটতে দিয়েই দেখুন, কাউকে কাঁদানোর জন্য এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না। বেশিরভাগ মানুষই পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখের পানি, নাকের পানি এক করে ফেলেন। পেঁয়াজের গোড়ায় আছে এক প্রকারের একজাইম। যখন পেঁয়াজের এই গোড়ায় আঘাত লাগে অর্থাৎ কাটা হয়, তখন এই এনজাইম নিঃসৃত হয়। সেই এনজাইম পুরো পেঁয়াজের সাথে বিক্রিয়া করে একরকম গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস যখন আপনার চোখের পানির সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার চোখ জ্বলতে শুরু করে। তাই কীভাবে পেঁয়াজ কাটলে চোখ আর জ্বালাপোড়া করবে না, কাঁদতেও হবে না, তা জেনে রাখা জরুরি-
পেঁয়াজের গোড়ার অংশটি অর্থাৎ যেখানে মূল থাকে ভালো করে করে ফেলে দিন। সেই সাথে পেঁয়াজের উপরের আস্তরটিও ফেলে দিন। কেননা বেশির ভাগ এনজাইম থাকে এই গোড়ায় ও ওপরের আস্তরে।
পেঁয়াজ কুচি করতে চাইলে ছিলে টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ খানিকটা সময় পর পানি বদলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন, চোখ জ্বলবে না। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হবে। পানিতে নিঃসৃত এনজাইম ধুয়ে যাবে, ফলে চোখ জ্বলবে না।
পেঁয়াজ ছিলে নিয়ে আধ ঘণ্টার মতন ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করুন বা কুচি করুন। ঠাণ্ডায় পেঁয়াজের এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ফলে চোখ জ্বলার সম্ভাবনা কমে যায়।
চপিং বোর্ডে ভিনেগার মাখিয়ে নিয়ে তারপর পেঁয়াজে কাটুন। ভিনেগারের এসিড এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে গ্যাসও নির্গত হবে না, চোখও জ্বলবে না।
পেঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি বা চুলা জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে নির্গত গ্যাস আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।
মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিন নাকের বদলে। এতেও চোখে পানি আসা ও জ্বলুনি অনেকটাই কমবে।
পেঁয়াজ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো, তারপর কাটুন। লবণ পানি নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে চোখ জ্বলার জন্য দায়ী এনজাইমকে।
মন্তব্য চালু নেই