এবার কলেজ অধ্যক্ষ ছাত্রীকে নিয়ে রাত্রি যাপন করল

একই ঘরে রাত কাটিয়ে অবস্থানের সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরলো কলারোয়ার একটি কলেজের অধ্যক্ষ ও ছাত্রীকে। বুধবার দুপুরের দিকে কলারোয়া পৌরসদরের শ্রীপতিপুর কলাগাছি এলাকায় অধ্যক্ষের বাসা থেকে তাদের আটক করে জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে নিয়ে গেলেও সন্ধ্যার দিকে মুচলেকায় ওই অধ্যক্ষকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মনিরুদ্দীন মোড়লের পুত্র বামনখালী ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে উপজেলার ধানদিয়ার গাজনা গ্রামের আ. রহমান সানার কলেজ পড়ুয়া কন্যা শারমিন নাহারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। মঙ্গলবার ওই অধ্যক্ষের স্ত্রী মিতা খাতুন বাড়ীতে না থাকার সুযোগে শারমিন নাহারকে নিয়ে আশরাফুল আলম নিজের বাড়িতে রাত যাপন করে। বুধবার বেলা ১টার দিকে বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে আসলে ওই এলাকার লোকজন একে একে জড়ো হয়ে আশরাফুল আলম ও শারমিন নাহারকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এদিকে থানায় ৪/৫ঘন্টা আটক থাকার পরে কলেজ অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম স্ত্রী মিতা খাতুন ও দুই ছেলে মেয়ের ভবিষ্যতের বিষয়টি চিন্তা করে ৪শতক জমি স্ত্রী-সন্তানদের নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ার প্রতিশ্র“তিতে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম থানায় অবস্থানকালীন সময়ে সাংবাদিকদের জানান, তারা কোন অবৈধ কাজে জড়িত ছিলো না। দুজনই স্বামী-স্ত্রী রূপে বসবাস করছে। গত ২১ সেপ্টেম্বর’১৩ সালে মুসলিম শরীয়ত মোতাবেক যশোর নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে ১লাখ ৫০হাজার টাকা দেনমোহরে গোপনে প্রথম স্ত্রী মিতা খাতুনকে না জানিয়ে বিয়ে করেছেন। যেটা তার বড় অপরাধ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই