স্মার্ট ৪টি উপায়ে এড়িয়ে চলুন অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন
পরিচিত-অপরিচিত বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রায়ই অপ্রত্যাশিত প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতে অনেক ক্ষেত্রেই আমরা রেগে যাই। আবার অনেক সময় কী বলব ভেবে পাই না। যারা ইচ্ছাকরে বিব্রতকর প্রশ্ন করেন তারা আরও সুযোগ নিতে চান। কোনভাবেই ছাড়েন না। আরও প্রশ্ন করতে থাকেন। কী করবেন এমন পরিস্থিতিতে?
অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে বিব্রত না হয়ে বরং স্মার্ট উপায়ে বের করে আনুন নিজেকে মাত্র ৪টি উপায়ে। ব্যবসায় যোগাযোগ এবং এটিকেট বিষয়ক বক্তা, লেখিকা বারবারা প্যাচটার তার লেখায় তুলে ধরেছেন এই উপায়গুলো-
আড্ডা ত্যাগ করুন
কোন একটা কারণ দেখিয়ে সে সময়ের মত আড্ডা ত্যাগ করুন। আপনার কাজের সাথে মিলিয়ে কিছু বলুন। যেমন- ‘আমার তো এখনই বসকে ফোন দেওয়ার কথা। দেখা করতে যেতে হবে।’ অথবা বলুন ‘ এখনই মনে পড়ল আমার দরকারি একটা জিনিস অফিসে রেখে এসেছি। ভদ্র ভাবে প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন। এতে কেউ রাগ করার সুযোগও পাবে না।
সরাসরি ‘না’ বলুন
‘না’ বলা দোষের কিছু নয়। সরাসরি বলুন, ‘আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাই না। তবু আপনাকে ধন্যবাদ যে আপনি আমার এত খেয়াল রাখেন।’ আপনার ‘না’ এর সাথে আপনি যখন একটি ‘ধন্যবাদ’ যোগ করে দিচ্ছেন তখন সামনের মানুষটির আর খারাপ লাগবে না। সম্পর্কও সহজ থাকবে, আপনিও সহজ থাকবেন।
বিষয় পরিবর্তন করুন
অন্য কোন বিষয়ে কথা বলুন। কথা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য এটি খুবই ভদ্র উপায়। এমনভাবে অন্য গল্পে ঢুকে যান যেন আপনাকে কোন প্রশ্ন করা হয় নি। এতে যিনি প্রশ্ন করেছেন তিনি ঠিকই বুঝতে পারবেন যে আপনি উত্তর দিতে চান না! তিনি যদি একজন ভদ্র ব্যক্তি হন তাহলে অবশ্যই ২য়বার প্রশ্ন করবেন না।
সোজা-সাপ্টা উত্তর দিন
যখন এড়ানো যাচ্ছেই না, উত্তর দিতেই হচ্ছে তখন সোজাসাপ্টা উত্তর দিন। যেমন- আপনার হয়ত সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সবার অনেক আগ্রহ। কেন হল, কি হল, কিভাবে হল এরকম নানান প্রশ্ন। কতজনকে এড়াবেন? তার চেয়ে একটা উত্তর ঠিক করুন। যেমন ‘আসলে এটা আমাদের একদমই ব্যক্তিগত বিষয়। আমি এখনো তাকে শ্রদ্ধা করি। তাই সমস্যগুলো নিয়ে কিছু বলতে চাই না। আর আমি ভাল আছি।’
মন্তব্য চালু নেই