নববধুরা স্বামীর কাছে কোখনোই এই কথা গুলো বলে বিপদ ডেকে আনবেন না…

দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়ার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলা হয়ে থাকে, সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক নিশ্চিত করতে কোনো কিছু গোপন রাখা উচিত নয়। এর পরও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক আরও বেশি গাঢ় করার প্রয়োজনে কিছু বিষয় গোপন রাখা উচিত। এ রকম চারটি বিষয় আছে স্ত্রীদের, যা স্বামীদের কাছে বলা বা তাদের বুঝতে দেয়া যাবে না।

গুরুত্বঃ

এই বিষয়টি নারীদের মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বামী আপনার জীবনে অপরিহার্য, তার প্রয়োজন, উপস্থিতি আপনার জীবনের সর্বক্ষেত্রে- সবই ঠিক আছে। তার পরও তা তাকে বুঝতে দেবেন না। তাতে করে দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বামী ঊর্ধ্বতনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। এতে করে আপনার যখন স্বামীর কাছ থেকে মানসিক সমর্থন দরকার হবে, তখন তা পাবেন না আপনি।

কেনাকাটাঃ
আপনি কি সত্যিই চান কেনাকাটার সময় স্বামী সঙ্গে থাকুক? চান না তো? তাহলে কেন তাকে বলবেন? স্বামী আপনার সঙ্গে কেনাকাটা করতে যেতে না-ও চাইতে পারেন। দোকানে দোকানে ঘোরাঘুরি তার কাছে বিরক্তিকর মনে হতে পারে। স্বেচ্ছায় স্বামী যেতে না চাইলে কেন আপনি জোর করে বিষয়টা জটিল করবেন। তার চেয়ে আপনি একাই কেনাকাটা করুন। যখন আপনি নতুন কোনো পোশাক পরে স্বামীর সামনে যাবেন, তখন তিনি আপনাকে দেখে চমকে যাবে। ব্যাপারটি আপনার কাছে দারুণ উপভোগ্য হবে না, বলুন?

পেশাগত জীবনঃ
প্রথমত, আপনার পেশাগত জীবন একান্তই আপনার। এতে আপনার স্বামীর কোনো ভূমিকা নেই। তাই পেশাগত জীবনের সবকিছু স্বামীকে বলার দরকার নেই। বাড়িতে অফিসের বিষয়গুলো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। এতে করে আপনার জটিলতা বাড়বে। তা ছাড়া, আপনার অফিসের ব্যাপারগুলো আপনি নিজেই ভালো বোঝেন, তাই না?

সঞ্চয়ঃ
দুজনই পরস্পরকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন, আর্থিক সঞ্চয়ের বিষয়ে সচেতন এবং কিছুই গোপন করেন না। তার পরও চেষ্টা করুন স্বামীকে বুঝতে না দিয়ে আলাদা একটি ব্যাংক হিসাব খুলে সঞ্চয় করার। যখনই সুযোগ পাবেন কিছু সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। দেখবেন, জরুরি প্রয়োজনের সময় আপনার এই অল্প পরিমাণ সঞ্চয়ই কত বড় উপকারে আসে।



মন্তব্য চালু নেই