‘অনুসন্ধান’ ছাড়াই আড়াই লাখ টাকা ঋণ পাবে কৃষক
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ নীতিমালা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এ সময় ডেপুটি গভর্নর ও আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান, এস কে সুর চৌধুরীসহ বিভিন্ন ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, এখন থেকে শস্য /ফসল চাষের জন্য সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্টিং ও সিআইবি ইনকোয়্যারির (অনুসন্ধান) প্রয়োজন পড়বে না।
এখন থেকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করা যাবে। তবে এজেন্টরা গ্রাহকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ (ভ্যাটসহ) আদায় করতে পারবে।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, আম-লিচুর পাশাপাশি পেয়ারা উৎপাদনে সারা বছর ঋণ পাবে কৃষকরা।
দেশের সব বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে তাদের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব শাখা বা এজেন্টের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে।
গত অর্থবছরে ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ১৩৪ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করা হয়েছে, যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৬৪৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা; যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ১০৮ শতাংশ।
মন্তব্য চালু নেই