বিয়ে করার আগে অবশ্যই জেনে নিন
জীবনের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় হল বিয়ে। তাই নিজের পছন্দে বিয়ে করেন আর পরিবারের পছন্দে বিয়ে করেন অবশ্যই হবু স্বামীর কাছ থেকে কিছু বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন আগেই। যাতে বিয়ের পর মনে না হয় যাকে নির্বাচন করা হয়েছে, সে আপনার উপযুক্ত নয়। বাস্তবে দেখা যায়, স্বামী বদলে যায়নি বরং আপনারই হিসাবে ভুল ছিলো। তাই এই বিভ্রান্তি থেকে বের হয়ে আসতে, কিছু প্রশ্ন আগেই করে রাখুন।
আমাকে ভালোবাসো কেন?
কেন ভালোবাসেন তিনি আপনাকে? এটা জানা সবচাইতে জরুরি। প্রথম জবাব যদি হয়- ‘তুমি অনেক সুন্দর’… তাহলে দ্বিতীয়বার ভাবুন। একজন মানুষ অনেক সুন্দর বলে তাকে ভালোবাসাটা কারো সততার পর্যায়ে পড়ে না। তাহলে সময়ের পেরিবর্তনে সৌন্দর্য চলে গেলে তার ভালোবাসাও ফুরিয়ে যাবে।
তুমি কার জন্য বাঁচতে চাও?
আপনি যদি তার সঙ্গে পুরো জীবন কাটাতে ইচ্ছা পোষণ করেন তবে অবশ্যই জেনে নিন তার ইচ্ছাটা। তার আচরণ, কথাবার্তায় বোঝার চেষ্টা করুন ভবিষ্যতে আপনাকে নিয়ে তার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা। তার বেঁচে থাকার সঙ্গে আপনার সম্পৃক্ততা তার কতটুকু কাম্য? তারপর মিলিয়ে দেখুন পরস্পরের জবাব।
বিয়ের পর তার পরিকল্পনা
বিয়ে মানেই জীবন ফুরিয়ে যাওয়া নয়। বিয়ে মানে নতুন একটি অধ্যায়ের শুরু। একটাই জীবন, সকলেরই আজন্ম লালিত কিছু স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নগুলোর কী হবে সেটা আগেই জেনে রাখা ভালো। তার ক্যারিয়ারের জন্য সে কতটা উদগ্রীব তা জেনে সঙ্গী করা উচিৎ।
বাচ্চার প্রতি তার আগ্রহ
আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অর্থাৎ বাচ্চা নেয়ার প্রতি তার আগ্রহ কেমন সেটাও জানার চেষ্টা করুন। জেনে নিন তার মতে বাচ্চা ভালোবাসার ফসল নাকি বংশ বৃদ্ধির হাতিয়ার? তাছাড়া আজকাল সন্তান না হওয়াটাও খুব সাধারণ ব্যাপার। যদি সন্তান না হয় আপনাদের কোন কারণে, যদি কারণ অক্ষমতা থাকে, সেক্ষেত্রে তার মনোভাব কী হবে সেটা জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তার কাছে মূল্যবান জিনিস
এই ব্যাপারটাও জেনে রাখাটা খুব বেশি জরুরি। তাহলে আপনি জানতে পারবেন কোন বিষয়গুলোকে তিনি গুরুত্ব দেন আর কোথায় আপনার হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না।
ক্ষমা করার মানসিকতা
ছোট খাটো ব্যপারেও সে আপনার প্রতি চড়াও নাতো? তার মধ্যে ক্ষমা করার মানসিকতা আছে কিনা সেটা জেনে রাখা উচিৎ। যদি সে ক্ষমা করতে জানে এবং ভুল থেকে বের করে আনার দিক নির্দেশনা দিতে পারে, তবে আর কষ্ট হবে না।
মন্তব্য চালু নেই