আল্লাহর রঙে রঙিন হওয়ার আহ্বান

ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান সম্প্রদায় সব সময় ইসলাম ও মুসলমানদের ব্যাপারে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকতো। সে প্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদেরকে তাদের ঈমানের বিদ্বেষ পোষণকারী চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইয়াহুদি ও নাসারাগণ প্রতিনিয়ত এ অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে যে, তোমাদেরকে তাদের মতাদর্শের রঙে রঞ্জিত করে দিবে। মুসলমানদের সতর্ক করতে আল্লাহ তাআলা বলেন-

(হে নবি আপনি তাদের বলুন) আমরা আল্লাহরই বর্ণে রঞ্জিত; আল্লাহ অপেক্ষা কে শ্রেষ্ঠতম রঞ্জনকারী? এবং আমরা তারই ইবাদাতকারী (উপাসক)।’ (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৩৮)

এ আয়াতে দুটি বিষয়ে প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে-
১. নাসারা তথা খ্রিস্টানরা বলতো আমাদের এক প্রকার রঙ আছে যা মুসলমানদের নেই। তাদের স্থিরকৃত রং ছিল হলুদ। তাদের নিয়ম ছিল, যখন কোনো শিশুর জন্ম হতো, অথবা কেউ যখন তাদের দ্বীনে দীক্ষিত তখন তাকে সে রঙে ডুব দেয়ানো হতো। তারপর তারা বলতো এবার সে খাঁটি খ্রিস্টান হয়ে গেল।

আল্লাহ বলেন দিলেন, হে মুসলমানগণ! তোমরা বলে দাও, তাদের পানির রং ধুলে তা শেষ হয়ে যায়। ধোয়ার পর এর কোনো প্রভাব বাকি থাকে না। বরং প্রকৃত রং তো হলো আল্লাহর দ্বীন ও মিল্লাতের রং; আমরা আল্লাহর দ্বীনকে গ্রহণ করেছি। এ দ্বীন যে গ্রহণ করে সে সর্ব প্রকার মলিনতা থেকে পবিত্র হয়ে যায়।

২. দ্বীনকে রং বলে এ দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, রং যেরূপ চোখে অনুভব করা যায়; অনুরূপ মুমিনের ঈমানেরও আলামত রয়েছে, যা তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ এবং সকল কাজ-কর্মে ফুটে উঠা উচিত।

পরিশেষে…
আল্লাহ তাআলা যে রং দ্বারা সমগ্র পৃথিবীকে রাঙিয়ে তুলতে চান, তা হলো- মানবমণ্ডলীর কাছে তিনি যে আসমানি গ্রন্থসহ শেষ রাসুল প্রেরণ করেছেন, তাঁর মাধ্যমে কুরআনের মতাদর্শ দ্বারা সারা পৃথিবী জুড়ে একটি ঐক্যবদ্ধ মানবতাবোধ গড়ে তোলা। যেখানে থাকবে না কোনো হিংষা-বিদ্বেষ, গোত্র প্রীতি ও স্বজন প্রীতি, থাকবে না কোনো বর্ণ প্রীতি; সমাজের সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায় ও ইনসাফ। সবার মাঝে বিরাজ করবে এক আল্লাহর গুণগান।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইসলামের রঙে রঙিন হওয়ার তাওফিক দান করুন। সকল প্রকার অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচারসহ ভ্রান্ত মতবাদ ও আক্বিদা বিশ্বাস থেকে হিফাজত করুন। আমিন।



মন্তব্য চালু নেই