আপনার শিশু কি বেশি ভাবপ্রবণ? তাহলে ওর আত্মা….
জন্মান্তরবাদীরা বলে থাকেন, বিগত জন্মের স্মৃতি আমাদের অবচেতনে বিদ্যমান থাকে। সেই সব স্মৃতি আমাদের চরিত্র নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেয়।
হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মে জন্মান্তর সিদ্ধ বিষয়। এই বিশ্বাস অনুযায়ী, অবিনশ্বর আত্মা দেহ থেকে দেহান্তরে গমন করে। এবং মোক্ষ অথবা নির্বাণ লাভের পরে তা পরমাত্মা বা বুদ্ধত্বে লীন হয়। এই জন্মান্তরচক্রের পিছনে কাজ করছে কর্মফল। সাবাই জাতিস্মর হন না। পূর্বজন্মের স্মৃতি সর্বদাই সজাগ থাকে না। কিন্তু জন্মান্তরবাদীরা বলে থাকেন, বিগত জন্মের স্মৃতি আমাদের অবচেতনে বিদ্যমান থাকে। সেই সব স্মৃতি আমাদের চরিত্র নির্ধারণে বড় ভূমিকা নেয়। শিশু বয়স থেকেই নাকি আচরণের মধ্যে প্রচ্ছন্ন থাকে এই পূর্বস্মৃতির বিষয়টি। শিশুদের আচরণ খুঁটিয়ে দেখলে অনুমান করা যায়, তার আত্মা কতটা পুরনো।
শিশুদের চরিত্রে কতগুলি বিষয় লক্ষ করা যায়, যা ঠিক ‘শিশুসুলভ’ নয়। সেই চিহ্নগুলিই নাকি প্রমাণ করে তাদের আত্মার প্রাচীনত্ব।
দেখা যাক সেই লক্ষণগুলিকে।
• অতিমাত্রায় ভাবপ্রবণ শিশু। প্রায়শই আনমনা থাকে।
• এই ধরনের শিশুর স্বপ্নে বার বার ধরা দেয় শান্ত দৃশ্য, বিশেষ করে প্রকৃতির ছবি।
• এরা হৈ-হট্টগোল এড়িয়ে চলে। বন্ধুদের বার্থ ডে পার্টিতেও একলা থাকে।
• প্রায়শই সমবয়সিদের সঙ্গ থেকে দূরে থাকতে চায়।
• বয়স্ক লোকেদের সঙ্গ পছন্দ করে।
• বয়সের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান।
• নিঃসঙ্গতা বেশি পছন্দ করে।
• উদ্বেগহীন থাকে বেশিরভাগ সময়ে।
• গাছপালা, পাখি অথবা অন্য প্রাকৃতিক বিষয়ে বেশি আগ্রহী।
• অনেক বেশি যুক্তিপ্রবণ।
• অন্যকে সাহয্য করতে তৎপর।
এই লক্ষণগুলি থেকে বোঝা যায় শিশুটির দেহে বাসরত আত্মা অতি প্রাচীন। এমনটাই বিশ্বাস হিন্দু ও বৌদ্ধ পরম্পরার।
মন্তব্য চালু নেই