এইভাবে আঙ্গুলের ১ মিনিট ম্যাসাজ, দূর করবে আপনার হাজার সমস্যা!
শারীরিক সমস্যার সমাধানে অনেকেই ওষুধ খাওয়ার বদলে খোঁজেন চিকিৎসার বিকল্প পদ্ধতি। সেরকমই একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি হল রিফ্লেক্সোলজি বা অ্যাকুপ্রেসার। এই পদ্ধতি অনুসারে শরীরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেসার পয়েন্টকে চিহ্নিত করা হয়। মনে করা হয়, এক একটি প্রেসার পয়েন্টের সঙ্গে জড়িত রয়েছে শরীরের আভ্যন্তরীণ নানা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এবং এই প্রেসার পয়েন্টগুলিকে স্পর্শ বা ম্যাসাজের মাধ্যমে ওই জড়িত অঙ্গগুলির নানা রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। এবার জেনে নেওয়া যাক, হাতের পাঁচটি আঙুলের প্রেসার পয়েন্টগুলিকে ম্যাসাজের মাধ্যমে কীভাবে এবং কী ধরনের রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব।
কী করতে হবে:
দু’টি হাতের যে কোনও একটি হাতকে নির্বাচন করুন। সেই হাতের আঙুলগুলো মেলে ধরুন। এবার অন্য হাতের আঙুলগুলি দিয়ে এই হাতের এক একটি আঙুলের উপরে মুঠো করে চেপে ধরুন। খুব জোরে চেপে ধরবেন না। মৃদু চাপ বজায় রাখবেন। তারপর মুঠো করা হাতটি দিয়ে আঙুলগুলির উপর থেকে নীচের দিকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করতে থাকুন। মিনিট খানেক ম্যাসাজ করুন প্রত্যেটি আঙুলকে। দিনে যতবার খুশি এইভাবে ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে দিনে অন্তত দু’বার এইভাবে ম্যাসাজ অবশ্যই করবেন।
এবার জেনে নিন, কোন আঙুল ম্যাসাজে কী ধরনের শারীরিক উপকার পাবেন—
১. বুড়ো আঙুল:
বুড়ো আঙুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের। বুড়ো আঙুলে ম্যাসাজ, ও বুড়ো আঙুল ধরে মৃদু টান হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের বেগ হ্রাস করে। যাঁরা উদ্বেগে ভোগেন তাঁরা বুড়ো আঙুল ম্যাসাজের মাধ্যমে উপকার পাবেন।
২. তর্জনী বা প্রথম আঙুল:
তর্জনীর সঙ্গে যোগ রয়েছে অন্ত্র ও মলাশয়ের। যাঁরা পেটের গোলমাল ও কোষ্ঠকাঠিন্যে কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা তর্জনী ম্যাসাজ করলে উপকার পাবেন।
৩. মধ্যমা বা দ্বিতীয় আঙুল:
যখনই ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব কিংবা বমি ভাবের কারণে অস্বস্তি বোধ করছেন তখনই মাঝের আঙুলটি ধরে আস্তে আস্তে সামনের দিকে টানতে থাকুন। মিনিট খানেকের মধ্যেই উপকার পাবেন।
৪. অনামিকা বা চতুর্থ আঙুল:
এই আঙুলের সঙ্গে যোগ রয়েছে আমাদের মন ও মেজাজের। যাঁরা অবসাদে বা মন খারাপের কারণে কষ্ট পাচ্ছেন তাঁরা যদি মিনিট খানেক অনামিকায় ম্যাসাজ করেন তাহলে উপকার পাবেন। মনে শান্তি ফিরে আসবে।
৫. কড়ে আঙুল:
এই আঙুলের সঙ্গে ঘাড় ও মাথার যোগ রয়েছে। এই আঙুলের মিনিট খানেক ম্যাসাজ আপনাকে ঘাড় ও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
মন্তব্য চালু নেই