ফুলবাড়ীতে ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের স্মরণ সভা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রয়াত ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের স্মরণ সভা ১৪ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় আসাদ স্মৃতি সৌধ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়ে
ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন স্মরণ সভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবলু এর সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র জয় প্রকাশ গুপ্ত, এসএম নূরুজ্জামান জামান, ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক নেতা হামিদুল হক, জাতীয় গণফ্রন্টের আবুল খায়ের, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সঞ্জিত প্রসাদ জিতু, ওয়ার্কার্স পার্টি শফিকুল ইসলাম শিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা এম এ কাইয়ুম, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী’র হিমেল মন্ডল প্রমূখ।
স্মরণ সভা শেষে পৌর শহরে ফুলবাড়ী কয়লাখনি বিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
পার্বতীপুরে আদিবাসীদের ৬৮টি বাড়ির সৌর পল্লী উদ্বোধন
দিনাজপুর পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের খোড়াখাই চাকলা বাজার মুশহরপাড়ায় আদিবাসীদের ৬৮টি পরিবারকে ৬৮টি সোলার হোম সিষ্টেম সৌর বিদ্যুৎ প্রদানের মাধ্যমে সৌর পল্লী উদ্বোধন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।
১৪ নভেম্বর শুক্রবার দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নে হেকস্-সুইজাল্যান্ড এর অর্থিক সহযোগিতায় গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে) কর্তৃক বাস্তবায়িত আলো প্রকল্পের মাধ্যমে খোড়াখাই চাকলা বাজার মুশহরপাড়ায় আদিবাসী ৬৮টি পরিবারকে ৬৮টি সোলার হোম সিষ্টেম সৌর বিদ্যুৎ প্রদানের মাধ্যমে সৌর পল্লী উদ্বোধন করলেন প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এ্যাডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি।
অনুষ্ঠানে মন্মথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ আলী শাহ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বতীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহেনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রকল্পে পরিচিতি ও খোড়াখাই কমিউনিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আব্দুল হাকিম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে) এর প্রধান নির্বাহী মোয়াজ্জেম হোসেন।
উল্লেখ্য পার্বতীপুর উপজেলার খোড়াখাই মুশহরপাড়ায় ৬৮টি পরিবারের বসবাস। সেখানে মোট ৩৫৮জন (নারী-১২৮, পুরুষ-১৩৩ এবং শিশু-৯৭) জনগোষ্ঠি ঠাসাঠাসি করে বসবাস করে আসছে। সেখানে বিদ্যুতের কোন সুবিধা নেই। বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়ার সামর্থ এই সব জনগোষ্ঠির নেই। তারা দিন আনে দিন খায়। প্রতিদিন কেরসিন তেল কিনে রাতে কোনমত আলো দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ কর্ম সম্পন্ন করে থাকে। গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র শিশুদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য একটি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু করেছেন। বিদ্যালয় হতে মোট ৩৪জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া সম্পন্ন করে স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। কিন্তু এই আলোর অভাবে শিক্ষার্থীরা রাতে লেখাপড়া সঠিকভাবে করতে পারে না। অবসর সময়ে বা সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক কাজ করতে পারেনা। এইসব ঘাটতি অবলোকন করে ৬৮টি পারিবারকে ৬৮টি সোলার হোম সিসটেম- (সৌর বিদ্যুৎ) বিনামূল্যে প্রদান করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই