রাবি শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিউল ইসলাম লিলনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. মমতাজ তার নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য চোধুরী সারোয়ার জাহান গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
ডা. মমতাজ জানান, গুরুতর জখম অবস্থায় ড. শফিঊলকে হাসপাতালে আনলে জরুরিভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের জন্য তাকে আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তিনি মারা যান।
শনিবার বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহীর বিনোদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটি (বিহাস) এলাকায় ড. শফিউল ইসলামের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শেষে বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে রাজশাহীর চৌদ্দপায় এলাকার বিহাসে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ড. শফিউল ইসলাম। বিহাস গেটে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। তার মাথা, ঘাড় ও পিটে এলোপাথাড়িভাবে কোপায় দুর্বৃত্তরা। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার।
ড. শফিউল ইসলামের মৃত্যুর খবরে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ও রাজশাহী প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ড. শফিউল ইসলামের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তারা শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
প্রিয় শিক্ষককে দেখতে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা রামেক হাসপাতালে ভিড় করেছেন। অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে সেখানে। এ ছাড়া ড. শফিউল ইসলামের সহকর্মী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের কাউকে কাউকে সেখানে দেখা গেছে। সবাই উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
এদিকে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর হোসেন,; ড. সফিউল ইসলামের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, কে বা কারা তার ওপর হামলা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করা যায়নি। তবে জোর তৎপরতা চলছে।
মন্তব্য চালু নেই