হেডফোন কেনার সময় মাথায় রাখুন এই তিনটি ব্যাপার
র্তমান সময়ে একটা ফোন কিনলে তার সাথে হেডফোন বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। তবে সেগুলো দেখতে চটকদার হলেও আমাদের কানের স্বাস্থ্যের জন্যে ততটা ভালো হয়না। ফলে দরকার পড়ে নতুন ও মানসম্মত একটি হেডফোন কেনার। সাধারণত, নতুন কোন হেডফোন কিনতে গেলে সবাই তিনটি ব্যাপার মাথায় রাখেন। প্রথমত, হেডফোনটি দেখতে ভালো কিনা? দ্বিতীয়ত, দামটা নাগালের ভেতরে কিনা এবং তৃতীয়ত, ভালো ব্র্যান্ডের কিনা। কিন্তু এই তিনটি ব্যাপারই একটি হেডফোনকে বাছাই করার জন্যে পর্যাপ্ত নয়। তাই সঠিক হেডফোন কেনার জন্যে হেডফোন বাছাইয়ের সময় মনে রাখুন নীচের তিনটি জরুরী বিষয়।
১. তথ্যাবলী পড়ুন
দাম, চেহারা বা ব্র্যান্ড না দেখে হেডফোন কেনার সময় সেটার গায়ে লেখা তথ্যাবলী পড়ুন। এক্ষেত্রে বেশকিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে আপনাকে একটি ভালো হেডফোন কেনার জন্যে। আর সেগুলো হচ্ছে- ইমপেডেন্স, এসপিএল, এইচজেড এবং ড্রাইভারস সম্পর্কে উল্লিখিত তথ্য। কেনার সময় খেয়াল করুন যাতে আপনার হেডফোনের ইমপেডেন্স ও ড্রাইভারস অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। সেইসাথে এসপিএল যেন মাঝারী মাত্রার এবং এইচজেড যেন আপনার পছন্দের গানের উপযোগী হয়।
২. এয়ারবাড বাছাই করুন
আপনার কান যথেষ্ট শক্তিশালী হলেও সেটাকে আঘাত করার জন্য একটি প্লাস্টিকের হেডফোনই যথেষ্ট। বিশেষ করে একেকজনের কানের আকৃতি একেকরকম হয় বিধায় ব্যাপারটি বেশ সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই এমন একটি এয়ারবাড ব্যবহার করুন যেটার ওপর প্লাস্টিক নয়, বরং রাবার বা ফোমের আস্তর থাকে।
৩. ধরন অনুযায়ী পছন্দ করুন
বাজারে অনেক ধরনের হেডফোন কিনতে পাওয়া যায়। তাদের একেকটা একেক ধরণের কাজের উপযোগী ও সুবিধার। তাই সেগুলোকে মাথায় রেখে হেডফোন বাছাই করুন। এই যেমন-
সাউন্ড আইসোলেশন হেডফোন, যেটা কিনা আপনাকে চারপাশের সব ধরণের শব্দ থেকে দূরে রাখবে। বাস বা রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকার সময় এটা হতে পারে আপনার সঙ্গী। এছাড়াও দরকার অনুযায়ী ঘাম প্রতিরোধক হেডফোন, ব্লুটুথ হেডফোনসহ আরো ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির হেডফোন বাছাই করতে পরেন আপনি।
মন্তব্য চালু নেই