আধুনিক বাবা-মায়েরা শিশুদের যে কথাগুলো রোজ বলেন

আপনার শিশু বেড়ে ওঠে আপনার একান্ত ভালবাসায়, পরম মমতায়। নরম কোমল সন্তানের গায়ে এতটুকু আঁচড় সহ্য করতে পারেন না কোন মা-বাবা। কিন্তু যত্ন বা ভালবাসা কিন্তু শুধু আদরেই হয় না। প্রয়োজন কিছু শাসন, কিছু উপদেশ যা পথ দেখাবে আজীবন। যত কম বয়সই হোক না কেন শিশুটি রোজ তাকে বলুন এই কথাগুলো-

১। আমি তোমাকে বিশ্বাস করি
ভরসা এমন একটি বস্তু যা মানুষকে সাহস দেয়, আত্মবিশ্বাসী করে। ছোটবেলা থেকেই আপনার সন্তানকে দৃড়চিত্ত করে গড়ে তুলতে পারেন শুধু এই একটি কথায়। তাকে বলুন যে আপনি তাকে ভালবাসেন, বার বার বলুন, আপনি তাকে বিশ্বাস করেন। শুধু আপনার বিশ্বাসে ভর করেই সে কিন্তু জয় করে আসবে পৃথিবী, নির্ভয়ে।

২। কখনো হাল ছেড়ো না
আপনার সন্তান হয়ত খুব সাধারণ একটা কাজ হাতে নিয়েছে। হয়ত পাখী আঁকতে চায় সে। অথবা লোগো ব্লক দিয়ে বানাতে চায় ঘর। তার কাজ যত ছোট আর সাধারণই হোক না কেন তাকে উতসাহিত করুন পুরোদমে। বলুন, কখনো হাল ছাড়া যাবে না। যে কাজ শুরু করা হয়েছে তা শেষও করতে হবে।

৩। আমরা সবসময়ই শিখি
শেখার কোন শেষ নেই- শিশুর মনে ঢুকিয়ে দিন এই চিরাচরিত কথাটি। কোনভাবেই তাঁর উৎসাহ যাতে শেষ না হয়ে যায়। বড় হতে হতে আমরা অনেক কিছু শিখি। একসময় আমরা ধরে নিতে শুরু করি যে, অনেক জেনে ফেলেছি, আর কিছু নেই জানার। কিন্তু আসলে জীবন সবসময়ই নতুন জ্ঞানের, নতুন বোধের ডালি সাজায়। ক্লান্তি ভুলে আমাদের শুধু নিয়ে নিতে প্রাণভরে।

৪। ওরাও একসময় তোমার মত ছিল
সফলতা কোন ঐশ্বরিক বস্তু নয়। আজকে যারা সফল তারাও একদিন ছিল তোমারই মত। তাই তুমিও সফল হবে অচিরেই। শুধু সফলমানুষদের গুণগুলো অর্জন করে নিতে হবে। – এই কথাগুলো আত্মবিশ্বাস বাড়াবে আপনার সন্তানের। তাকে কখনো হেরে যেতে দেবে না।

৫। ব্যার্থতা কোন সমস্যা নয়
আমরা সাধারণত ব্যার্থতাকে মেনে নিতে পারি না। নিজের জীবনে হোক আর হোক আমাদের সন্তানের জীবনে। তাই পরীক্ষায় ফেল করলে এখনো বকা দেওয়া বা মারধোর করা একটি প্রচলিত স্বাভাবিক ক্রিয়া। একজন আধূনিক অভিভাবক হিসেবে ত্যাগ করুন এই অভ্যাসগুলো। শিশুকে বোঝান, ব্যার্থতা কোন সমস্যা নয়। তবে সফল হওয়ার চেষ্টা এবং শ্রম সবসময় থাকতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই