উকুন থেকে মুক্তি চান? তাহলে পড়ুন

বেশিরভাগ শিশুর মাথাতেই উকুনের আক্রমণ হয় যা মাথার তালুতে চুলকানির সৃষ্টি করে। এই ছোট্ট পরজীবীগুলো মাথার তালুতে হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটে এবং রক্ত শোষণ করে।

যদিও এরা তেমন কোন মারাত্মক অসুস্থতার সৃষ্টি করেনা তবুও স্বাস্থ্যগত পরিচ্ছন্নতার জন্য এদের প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। উকুনের উপদ্রবের লক্ষণ হচ্ছে মাথার তালুর চুলকানি এবং ঘাড়ের পেছনে ছোট ছোট লাল দাগ ও ফোলা অংশ দেখা যায়।

আপনার শিশুর মাথাকে উকুন মুক্ত করার জন্য কিছু উপায় জেনে নেই আসুন।

১. উকুন প্রতিরোধ করার প্রথম উপায় হচ্ছে উকুন আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা। আপনার সন্তানকে তার যে বন্ধুটি উকুনের সমস্যায় আক্রান্ত তার থেকে দূরে থাকার জন্য বলুন, যদিও এটি মেনে চলা শিশুদের পক্ষে কঠিন।

২. শিশুর চুল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই উকুনের উপদ্রব আছে কিনা তা বুঝতে পারা যায়। কারণ উকুন খুব দ্রুত বংশবিস্তার করে। উকুনের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে মাত্র ৭-১০ দিন লাগে এবং এই উকুনের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে সময় লাগে মাত্র ৬-১০দিন। তখন তারা নিজেরাই ডিম পাড়ার উপযুক্ত হয়ে যায়। বর্তমান একটি জরিপে দেখা গেছে যে, ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ফার্মাসিস্টই মনে করেন- অভিভাবকরা তাদের সন্তানের চুল প্রায়ই যথেষ্ট পরীক্ষণ করেন না।

৩. চিরুনি ও মাথায় ব্যবহৃত অন্যান্য জিনিস অন্য কারো সাথে শেয়ার না করা উচিত। চুলের কাঁটা, ক্লিপ, ব্যান্ড, চিরুনি ও অন্যান্য জিনিসের মধ্যে উকুন লেগে থাকতে পারে। আপনার সন্তানকে এই জিনিসগুলো অন্য শিশুদের সাথে শেয়ার করতে নিষেধ করুন বিশেষ করে যাদের মাথায় উকুন আছে তাদের সাথে।

৪. উকুননাশক শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে দিন, তাহলেও উকুন দূর হবে। আপনার সন্তানের চুল যদি বড় হয় তাহলে স্কুলে যাওয়ার সময় পনি টেইল বা বেণী বা ঝুঁটি করে দিন।

৫. আপনার শিশুর জামা কাপড় ও অন্যান্য জিনিস আলাদা রাখুন। উকুন কাপড় চোপড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে। যদি আপনার সন্তানের মাথায় উকুন হয় তাহলে তাঁর ব্যবহার্য জিনিস গুলো অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখুন।

৬. আপনি যদি লক্ষ্য করেন যে, হঠাৎ করেই আপনার সন্তান কয়েকবার মাথা চুলকাচ্ছে তাহলে সূক্ষ্ম দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে দিন এবং মাথাটি ভালো করে পরীক্ষা করুন।



মন্তব্য চালু নেই