লবণ দিয়ে এই কাজগুলো অনেক সহজে করা যায়!
আমাদের অনেকেরই পাতে লবণ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। অনেকে আবার এটা ছাড়া ভাতই খেতে চান না। কিন্তু জানেন কি ? অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা। অতিরিক্ত লবণ খেলে রক্তচাপ বৃদ্ধি, হার্ট ফেইলর, কিডনি পাথুরী ও কিডনির অন্যান্য রোগ, স্ট্রোক, গ্যাসট্রিক, ক্যান্সার, শোথ বা ইডিমা, অস্থিক্ষয় এসব উপসর্গের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর ফলে প্রতি বছর বিশ্বের বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।
এবার দেখবো এর উপকার যেমন
রান্নায় ঝাল, মশলা যতই হোক না কেন, লবণ ঠিকমতো না হলে স্বাদই মাটি। বেশি হলেও চলবে না, আবার কম হলেও মুখে রুচবে না। লবণ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে লবণের প্রয়োজনীয়তা শুধ রান্নাতেই আটকে নেই। দৈনন্দিন জীবনের প্রচুর কাজেও দারুণ দরকারী লবণ।
আছে যেমন আমরা গোসল করি কেন? এরকম একটি উদ্ভট প্রশ্নের জবাব দিতে অবশ্যই আপনি আগ্রহী হবেন না। তবে অবশ্যই এর পেছনে কারণ বিদ্যামান। মূলত আমরা স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করে থাকি। কিন্তু আমরা যে পানি দিয়ে গোসল করছি তা সত্যিই কি আমাদের স্বাস্থ্যকে ভাল করছে?
অনেকে গোসলের পানিতে বিভিন্ন জীবাণুনাশক পানীয় ব্যবহার করে থাকে। এতে কি আপনি ইতিবাচক ফল পাচ্ছেন? আমাদের প্রতিদিনের কাজের তালিকায় গোসল একটি প্রধান কাজ। এর প্রতি খুব সহজেই সচেতন হওয়া যায়। পানির সাথে লবণ মিশিয়ে গোসল করা শুরু করুন।
এতে আপনি আনেক উপকার পাবেন এবার আসুন দেখে আসি আমরা কি কি উপকার পাবো
আরোগ্য এবং শিথিল:
হিমালয় বাথ সল্ট বা লবণ পানি দিয়ে গোসল করার ফলে চামড়া হাইড্রেড হয়, আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং সেলুলারের পুনর্জন্ম উন্নীত করে। এছাড়া ত্বককে ডিটক্সিফাই বা দূষণমুক্ত করে এবং ত্বকের নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নোনা জলের পানিতে স্নান করলে পেশী এবং জয়েন্টগুলোতে প্রদাহ হ্রাস পায় এবং পেশীর ব্যথা বেদনা দূর করে দেয়।
ত্বকের জন্য ভাল:
লবণ-পানিতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান অর্থাৎ খনিজ ও পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক ভাল। যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, মামুলি, সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম খনিজ আমাদের ত্বকের ছিদ্রের মধ্যে শোষিত হয় এবং চামড়া পৃষ্ঠের পাবক পরিষ্কার করে ত্বককে প্রদীপ্ত এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।
এবার আমরা লবণের কাজ দেখবো জানেন কি লবণ দিয়ে কত কাজ করতে পারেন? জেনে নিন এমনই ১০ কাজ।
১-সব্জি কাটার চপিং বোর্ডে অনেক সময়ই এমন দাগ পড়ে যায় যা কিছুতেই ওঠানো যায় না। অর্ধেক লেবুর রসের সঙ্গে নুন মিশিয়ে ঘষে নিন। দাগ উঠে যাবে।
২-যদি আপনার বাড়িতে ব্রাসের কোনও কিছু থেকে থাকে তাহলে মরচে তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারেন নুন। ভিনিগার ও নুন সম পরিমাণে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিয়ে ব্রাসের বস্তুর গায়ে ঘষে মেজে নিন। পাতলা শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলেই মরচে উঠে যাবে।
৩-পোড়া বাসনের দাগ তুলতে নুন লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। তারপর ঘষে ভাল করে মেজে নিন। দাগ উঠে যাবে।
নুন, জলে সারা রাত ভিজিয়েও রাখতে পারেন। অথবা নুন, জলে ফুটিয়ে নিলেও বাসনের পোড়া দাগ উঠে যাবে।
৪-অনেক সময় বরফ জমাট বেঁধে এত শক্ত হয়ে থাকে গলানো যায় না। নুন ফেল দিলে বরফ সহজে গলে যাবে।
৫-যদি রান্না করতে করতে হঠাত্ চাটু বা কোনও পাত্রে আগুন ধরে যায় তাহলে একমুঠো নুন ফেলে দিন।
আগুন নিভে যাবে। কখনই ভুলেও চিনি ব্যবহার করবেন না।
৬-সেরামিকের কাপের গা থেকে চা বা কফির দাগ তুলতে সম পরিমাণ নুন ও ভিনিগার মিশিয়ে নিন।
এই মিশ্রণ পরিষ্কার কাপড়ে লাগিয়ে কাপের গায়ে ঘষলে গাদ উঠে যাবে।
৭-দাঁত তোলার যন্ত্রণা কতটা মারাত্মক হতে পারে যাদের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা জানেন। নুন, জল এই ব্যথা কমাতে পারে।
যে কোনও মাড়ির সমস্যাতেও ভাল কাজ দেয় নুন, জল।
৮-পোকা মাকড়ের কামড় থেকে রক্ষা পেতে সামান্য নুন নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় ১০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এতে ঘা শুকিয়ে যাবে।
৯-বাথরুমে জোঁক বা বর্ষাকালে বাগানে শামুকের প্রভাব কমাতে দারুণ কাজ করে নুন। শুধু একমুঠো নুন ফেলে দিন এতেই জোঁক, শামুক শুকিয়ে মারা যাবে।
১০-ঠান্ডা লাগলে এক গ্লাস গরম জলে নুন ফেলে গার্গল করার টোটকা সকলেই জানেন।
মন্তব্য চালু নেই