মডেলের সঙ্গে সেলফি তুলে চাঁদ দেখা কমিটির প্রধান বরখাস্ত
মডেলের সঙ্গে সেলফি তুলে চাঁদ দেখা কমিটি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন পাকিস্তানের এক মুফতি। কান্দিল বেলুচ নামে এক জনপ্রিয় মডেলের সঙ্গে তোলা সেলফি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আবদুল কাবী নামে ওই মুফতির বরখাস্তের এ ঘটনা ঘটে।
গত বুধবার (২২ জুন) পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ধর্মমন্ত্রী সরদার মুহাম্মদ ইউসুফ ওই মুফতিকে বরখাস্ত করে একটি আদেশ জারি করেন। কেবল বরখাস্তই নয়, এ ঘটনা তদন্তের জন্য জাতীয় উলামা-মাশায়েখ পরিষদেও পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ছবিগুলো করাচির একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তোলা। মুফতি কাবী তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানের অনুগত বলে পরিচিত। তিনি পিটিআইয়ের ওলামা শাখার প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানায়, গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে কান্দিল বেলুচ ও মুফতি কাবীর ওই সেলফিটি। এতে দেখা যায় একটি কক্ষে মুফতির পাশে বসে কান্দিল স্মার্টফোনে সেলফি তুলছেন। আর তার ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে পোজ দিচ্ছেন ফোনালাপে মগ্ন মুফতি কাবী। এসময় আবার মুফতির টুপি দেখা যায় মডেল কান্দিলেরই মাথায়। সেলফিতে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যায় দু’জনকে। এরকম দুটি সেলফি পোস্ট করা হয় বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে মুফতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সম্প্রতি করাচিতে একটি টিভি অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে দেখা করার পর কান্দিল বেশ উচ্ছ্বাস দেখান। তিনি আমার টুপি মাথায় নিয়ে সেলফি তুলে নেন। সেসময় আমি ফোনালাপে ব্যস্ত ছিলাম। এমনকি তিনি ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার আবদারও জানান আমার কাছে।’
এ বিষয়ে কান্দিলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি উল্টো মুফতি কাবীকে দোষারাপো করেন। বলেন, ‘আমি কেন তার সঙ্গে দেখা করতে চাইবো। আসল কথা হলো সেদিন তিনিই বলেছিলেন, রমজানের চাঁদ দেখার আগে তিনি আমার চেহারায় চোখ রাখতে চান।’
কান্দিল হেসে বলেন, ‘তিনি (মুফতি) আমাকে এও বলেছেন ইমরান খান ৬৫ বছরের, আর তার বয়স ৫০। দু’জনের মধ্যে ১৫ বছরের ব্যবধান খুব বড় নয়।’
এরপর অবশ্য ওই মুফতি বলেছেন যে, মডেল কান্দিল এই ছবি ও ভিডিওর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ফের পাল্টা জবাব দেন কান্দিল। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বিভিন্ন রকম খবরের বিষয়ে জানতে তাকে ফোন করেছিলাম। তবে তিনি আমার ফোন ধরেননি।’
রমজান মাসে কান্দিল ও মুফতি কাবীর এই সেলফি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানজুড়ে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পিটিআইয়ের মুখপাত্র দাবি করেন, মুফতি কাবী নন, পিটিআইয়ের ওলামা শাখার প্রধান মুফতি সাঈদ।
গত ২৩ জুন তিনি তার ফেসবুক পেজে বলেন, ‘আমি আজ খুব একা হয়ে গেছি। আমি শুধু মানুষের আসল চেহারাটা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে নিয়ে এখন ব্যাঙ্গ করা হচ্ছে। যারা এসব করছেন তাদের কিছুই বলার নেই আমার। আমি এই প্রসঙ্গ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।’
মন্তব্য চালু নেই