নেশা মেটাতে প্রতি রাতে আমি………

সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘গেইম অফ থ্রোনস’-এ পতিতার চরিত্রে অভিনয় করে এরই মধ্যে আলোচনায় এসেছেন জোসেফিন গিলান। জানালেন, এক সময় বাস্তব জীবনেই যৌনকর্মী ছিলেন তিনি।

ব্রিটিশ ওয়েবসাইট ‘ডেইলিমেইল’ বলছে, কোকেইনে আসক্ত ছিলেন গিলান। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার তিনি পতিতাবৃত্তির রাস্তা বেছে নিতেন নেশার দ্রব্য কেনার টাকা জোগানোর জন্য।

২৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী “ডেইলি সান” পত্রিকাকে আরও বলেন, “এই সিরিজ আমার জীবন রক্ষা করেছে। নিজেকে আর বিক্রি করতে পারছিলাম না আমি। আমার পক্ষে এসব আর সম্ভব হচ্ছিলনা। প্রতি রাত প্রায় চার হাজার পাউন্ডের বিনিময়ে ধনী ব্যক্তিরা আমার সাথে রাত কাটাতো। আমি পর্ন তারকা জানার পর আমার মূল্য বেড়ে যেতো কয়েকগুণ।”

‘গেইম অফ থ্রোন্স’-এ মারি নামের এক বেশ্যার চরিত্রে দ্বিতীয় সিজন থেকেই দেখা গেছে গিলানকে। সিরিজের সপ্তম সিজনেও দেখা যাবে তাকে; চলতি বছরের শেষেই শুরু হবে এর শুটিং।

‘গেইম অফ থ্রোন্স’-এ অন্তর্ভুক্তির আগে সোফি ও’ব্রায়েন ছদ্মনামে পর্নগ্রাফিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করতেন গিলান। এছাড়াও, নেশার খোরাক যোগাতে যৌনকর্মীর পেশাও বেছে নেন তিনি।

তবে কোকেইনের মাত্রাকিরিক্ত সেবনে দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে, জীবন সঙ্কটেই পড়ে যান এই ব্রিটিশ অভিনেত্রী। তখনই সিদ্ধান্ত নেন নেশার কবল থেকে বেরিয়ে আসার।

ঠিক ওই সময়েই ‘গেইম অফ থ্রোন্স’-এর রগরগে যৌন উত্তেজক দৃশ্যের জন্য খোঁজা হচ্ছিল কলাকুশলী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ছবি পাঠালে অডিশন ছাড়াই সিরিজটিতে কাজের সুযোগ পেয়ে যান গিলান।

গিলানের শৈশব ছিল হতাশায় ভরপুর। নেশা, যৌন হয়রানি, বারবার স্কুল এবং বাসস্থান বদল– সব মিলিয়ে তার জীবনে ছিলনা সুখের ছিটেফোঁটাও। বয়স বাড়ার সাথে সাথে নেশার আসক্তিও বাড়তে থাকে। অর্থ উপার্জনের সহজ উপায় হিসেবে দেহপসারিণী হিসাবে নিজেকে বিলিয়ে দিতে থাকেন তিনি।

‘গেইম অফ থ্রোন্স’ থেকে পাওয়া পরিচিতির সুবাদে গিলান বেরিয়ে এসেছেন সেইসব অন্ধকারাচ্ছন্ন অতীত থেকে। শুধু তাই নয়, এখন কাজ করছেন দুটি সিনেমাতেও; যেখানে নিছক এক যৌনকর্মী হিসেবে নয়, জোসেফিন গিলানকে দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেই।



মন্তব্য চালু নেই