মায়ের অবৈধ সম্পর্ক : প্রাণ গেল দুই মেয়ের!

বীরভূমের মহম্মদবাজারে দুই বোনকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় নিহতদের মাকে আটক করল পুলিশ৷ সঙ্গে আটক করা হয়েছে এক গুরুমা ও এক যুবককে৷ মায়ের একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ার কারণেই মেয়েদের মরতে হল বলে অনুমান পুলিশের৷ মায়ের মোবাইলের কল লিস্ট এবং আটক যুবক ও গুরুমাকে জেরা করেই এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছে পুলিশ৷ খুনের অভিযোগে মাকে গ্রেফতার করারও ইঙ্গিত মিলেছে৷

শনিবার সকালে ঘটনার তদন্তে যায় সিআইডির একটি দল৷ তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না পুলিশ৷ প্রথম থেকেই এই জোড়া খুনের ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করে৷ মহম্মদবাজার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাড়ি থেকে সুস্মিতা ও পুষ্পিতার দেহ উদ্ধার হওয়ার পর তাদের মা অপর্ণা সাধুর বয়ান ঘিরে ধন্দ দেখা দিয়েছিল৷

বৃহস্পতিবার রাতে যখন দুই মেয়ে খুন হয় তখন অপর্ণাদেবী বাড়ি থেকে আট কিলোমিটার দূরে কুমোরপুরে এক মন্দিরে গিয়েছিলেন বলে পুলিশকে শুক্রবারের জেরায় জানান৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, ওই দূরত্ব তিনি পায়ে হেঁটে যাতায়াত করেন৷ কিন্তু তদন্তে উঠে আসে বিকেল পাঁচটায় বাড়ি থেকে বের হন তিনি৷ সাড়ে ছ’টার মধ্যে আবার ফিরেও আসেন৷ প্রশ্ন ওঠে, দেড় ঘণ্টার মধ্যে পায়ে হেঁটে আট কিলোমিটার পথ তিনি যাতায়াত করলেন কীভাবে?

শনিবার তদন্তে উঠে আসা তথ্য সেই ধন্দকে আরও খানিকটা উসকে দিল৷ পুলিশের জালে আটক হওয়া চণ্ডী লাহার সঙ্গে অপর্ণাদেবীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে মনে করছে পুলিশ৷ আর সেই সম্পর্কের কথা জেনে গিয়েছিল বড় মেয়ে৷ অনুমান, সেই কারণেই পরিকল্পনা করে বড় মেয়ে সুস্মিতাকে দুনিয়া থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন মা৷ কিন্তু ঘটনাক্রমে ছোট মেয়ে পুষ্পিতা ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতে দিদির খুনিদের মুখোমুখি পড়ে যায়৷ প্রমাণ লোপাট করতে গিয়ে তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়৷

অন্যদিকে সবিতা মাহারা নামে যে গুরুমাকে পুলিশ আটক করেছে, তার কাছ থেকেও বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে৷ পুলিশের জেরার মুখে সবিতাদেবী চণ্ডী লাহার সঙ্গে অপর্ণা সাধুর সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছে বলে সূত্রের খবর৷ পাশাপাশি যে মন্দিরে ঘটনার দিন অপর্ণাদেবী গিয়েছিলেন, সেই মন্দিরেই চণ্ডী লাহার সঙ্গে তিনি দেখা করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷ দুই মেয়েকে নিয়ে মা অপর্ণাদেবী বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বাড়িতেই দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন৷ বাবা ধ্রূব সাধু রেলের কর্মী৷ মধ্যপ্রদেশের রৌরকেলায় তিনি কর্মরত৷ সুত্র-সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই