ধানের শীষে ভোট দেয়ায় গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’

বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেয়ায় যশোরের শার্শায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’ করেছেন ‘নৌকা প্রতীকের কর্মীরা’।

রোববার মধ্যরাতে ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে ধরে পাশে পাটক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলাই গ্রামে।

ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে সোমবার দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিত গৃহবধূ জানান, গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে তার স্বামী ও তিনি চেয়ারম্যান পদে বিএনপির প্রার্থী সরোয়ার হোসেনের ধানের শীষে ভোট দেন। এতে সেদিনই তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়। এরপর ভয়ে ওইদিন তারা বাড়ি ছিলেন না। রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে মেম্বর শামসুজ্জামান বুলুর সহযোগী সেকেন্দার, সবুজ, জাহাঙ্গীর, কাইছেদসহ ৭-৮জন তাদের বাড়িতে হামলা করে। এসময় তার স্বামীকে মারধর করে তাকে বাড়ির পাশে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে।

ধানের শীষের প্রার্থী সরোয়ার হোসেন বলেন, ভোটের দিন বুথে ঢুকে নৌকার সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মী শামসুজ্জামান বুলুর লোকজন ওই গৃহবধূর সিল দেয়া ব্যালট পেপার দেখেন। এতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়। ফলে তারা ভয়ে বাড়ি ছেড়েছিল। পরে তাদের বাড়িতে ফিরে আসার কথা বললে রোববার সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফেরেন। এ বিষয়ে তারা মামলা করবেন।

হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন, ভিকটিম দাবি করেছেন তিনি গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই তারা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ভুক্তভোগী নারীর সাথে তিনি মোবাইলে কথা বলেছেন। ওই নারী প্রথমে চারজন পরে পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেছে এমন উল্টোপাল্টা কথা বলেছেন। এজন্য সত্য মিথ্যা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই