কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত এ্যানী
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।
আমাদের গাজীপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, রোববার (৫ জুন) রাতে কাশিমপুর কারাগারের পার্ট-২ থেকে তিনি ছাড়া পান। এ সময় কারা ফটকে তার পরিবারের স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই বাচাই শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এ্যানীর বিরুদ্ধে নাশকতা, ভাঙচুরসহ মোট ২০টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি আদালত থেকে জামিন লাভের পর আর কোনো মামলায় আটকাদেশ না থাকায় তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া নয়টি মামলায় গত ২৮ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এ বছর ২৯ জানুয়ারি তাকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়।
এ্যানী চৌধুরীর আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন জানিয়েছেন, নাশকতা, মানহানি, দুদকের মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানা ও আদালতে এ নেতার বিরুদ্ধে মোট ৯৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি কারাগারে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সব মামলায় আমরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনাদেশ পাই। কিন্তু কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় জেল গেট থেকে তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।’
বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, রাজধানীর শাহবাগ, পল্টন, রমনা ও মতিঝিল থানায় গাড়ি ভাঙচুর, নাশকতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১৫ সালে মোট ১০টি মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাঙামাটি, কুমিল্লা, কক্সবাজারসহ তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।
সর্বশেষ দুদকের মামলায় গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ বহাল রাখলেও পরের দিন বেইলবন্ড কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু কারাগার থেকে কারামুক্তির সময় জেলগেট থেকে তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখায় পুলিশ। পরবর্তীতে পল্টন থানার আরো দুইটির মামলায়ও তাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানোর আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করেন।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে দায়ের হওয়া শাহবাগ থানার ৫ মামলায় এ্যানী ২০১০ সালে ২ মাস, ২০১২ সালে রাজধানীর তেজওগাঁও ও শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় ৩ মাস কারাভোগ করেন এ্যানি চৌধুরী। ২০১৩ সালে পল্টন, রমনায় গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ৫ মামলায় দেড়মাস কারাভোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
মন্তব্য চালু নেই