ঝড়ে ভোলা ও পটুয়াখালীতে তিনজনের মৃত্যু
রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়ায় ভোলার তজুমদ্দিন ও পটুয়াখালীর দশমিনায় গাছ ও ঘরচাপা পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এবং তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।
মৃতরা হলেন—তজুমদ্দিন উপজেলার শশীগঞ্জ গ্রামের মফিজের ছেলে মো. আকরাম (১২), একই এলাকার মো. নয়নের স্ত্রী রেখা বেগম (২৫) এবং পটুয়াখালীর দশমিনার চরলক্ষ্মীপুর এলাকার নায়া বিবি (৫৫)। আহতদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন ও ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন উপজেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (পিআরও) মো. রাশেদ খান জানান, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া আঘাত হানে। এতে গাছচাপা পড়ে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এক নারী এবং সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তজুমদ্দিন উপজেলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে মনপুরা ও লালমোহন উপজেলায়ও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মনপুরায় শতাধিক ব্যক্তি আহত এবং অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। একইভাবে লালমোহন উপজেলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং ৩০টির মত ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে।
পটুয়াখালীর দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, রোয়ানুর প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানোর প্রভাবে শুক্রবার গভীর রাত থেকে পটুয়াখালীহ উপকূল অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় পটুয়াখালীর বেশ কয়েকটি চর অঞ্চলে কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাঙ্গাবালী ও গলাচিপার বেড়িবাঁধ বিহীন কয়েকটি চরে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় বাসিন্দারা আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই