ওর সঙ্গে ‘না’ নয়

সব বাচ্চারই আবদারের জায়গা তার বাবা-মা। অধিকাংশ বাবা কাজের তাগিদে সারাদিন বাইরে থাকেন। আর তাই সন্তানের বায়নাটা এসে পড়ে মায়ের ওপর। তাকে শাসন বারণ করাও মায়ের দায়িত্বে পড়ে। আর তাই মাকে সব সময়ই বলতে হয়, এটা করো না, ওটা ধরো না, সেটা খাবে না। এতোগুলো ‘না’ নিয়ে বাচ্চার সঙ্গে আপনিও একসময় বিরক্ত হয়ে যাবেন। তাই ওর সঙ্গে ‘না’ নয়, বুঝিয়ে বলুন।
‘না’ বলাটাও একটা আর্ট। সবাই কথা গুছিয়ে বলতে পারেন না। বিশেষ করে সন্তানের মুখের ওপর না বলা মায়েদের জন্য বেশ কষ্টকর। বারবার না শুনে সন্তানেরও ‘না’ এর প্রতি শ্রদ্ধা থাকে না। তাই সরাসরি নিষেধ না করে তাকে বুঝিয়ে বলুন। তার কাজটা ভুল হচ্ছে, এই ধরণের কাজ তার মানায় না। বুঝিয়ে বললে অবশ্যই সে শুনবে।
কোনো জিনিসের প্রতি বাচ্চাদের প্রবল বায়না থাকতেই পারে। তা নেয়ার জন্য অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু তার উপযোগিতা, উপকারিতা এবং আপনার সামর্থ যদি না কুলায় তবে বুদ্ধি খাটান। আপনি যে এটা কিনে দেয়ার মোটেই পক্ষপাতি নন সেটা তাকে বুঝতে দেওয়ার কোনো দরকার নেয়। তাকে নরম গলায় বলুন দুয়েক দিনের মধ্যে কিনে দিবেন। আপনার আর বাচ্চার দুজনের কথায় রইলো। এর মধ্যে বাচ্চাটি তার বায়নাও ভুলে যেতে বসবে। ফলে আপনিও থাকবেন ঝামেলামুক্ত।
সন্তান টিনএজের আশেপাশে হলে বায়না করা কাজের ভালোমন্দ দুটি দিক তাকে বুঝিয়ে দিন। তারপর কাজের দায়িত্ব তাকেই নিতে বলুন। দেখবেন দায়িত্ব ঘাড়ে চাপলেই তার মন নরম হয়ে গেছে।
সন্তানকে দায়িত্ব নিতে দিন। এতে আপনার না বলাটা কমে আসবে। আপনার সন্তানটিও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে শিখবে।



মন্তব্য চালু নেই