বিকল্প রাস্তা না থাকায় ভোগান্তিতে মানুষ

টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইলের সাথে সাগরদির্ঘী যোগাযোগের ১৮ফুট প্রস্থ ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য প্রধান সড়কাটিতে রয়েছে ছোট বড় অনেক ব্রিজ ও কালভার্ট। পেচার আটা নামক স্থানে ভেঙ্গে যাওয়া ব্রিজের সংস্কার কাজ চলছে। কিন্ত বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ ও শিক্ষাথীরা। খোজ নিয়ে জানা যায়, ব্রিজ ও রাস্তাটির পূর্বের উন্নয়ন কাজ উন্নতমানের হয়নি বলে অনেক যায়গায় ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে৷

যতগুলো ব্রিজ আছে সব গুলো অনেক পুরাতন হওয়ায় দেখা দিয়েছে ফাটল৷ঝুকিপুর্ণ ঘোষনা করা হয় কয়েকটি ব্রিজ৷ যার মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে ধলাপাড়া পেচারআটার ঝুকিপুর্ন ব্রিজটি।এরই মধ্যে এই গুরুত্বপুর্ন সড়কটির কয়েকটি ব্রিজ ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে৷ যার মধ্যে রয়েছে ঝড়কা শহিদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস চেকপোষ্ট সংলগ্ন ব্রিজটিও৷ সকল ব্রিজের কাছে যায়গা থাকায় যানবাহন চলাচলের জন্য বাইপাস সড়ক তৈরি করা হলেও ঝড়কার ব্রিজের কাছে নেই কোনো যায়গা৷ যার ফলে বিকল্প রাস্তা হিসেবে অনেক যায়গা ঘুরে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের এই রাস্তাটির প্র ধান বাহন হচ্ছে বাস,ট্রাক কিন্তু নতুন ব্রিজের সংস্কারের কাজ হচ্ছে যার ফলে এসব গাড়ী রাস্তায় দেখা যাচ্ছে না৷

যার ফলে যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে,রাস্তাটিতে পাওয়া যাচ্ছে ছোট বাহন সিএনজি,মাহিন্দ্রা,অটোরিক্সা সহ অল্প সংখ্যক যানবাহন ৷ এসব যানবাহনে যাত্রীরা চলাচল করলেও যাত্রীদের রয়েছে অনেক অভিযোগ, যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে অতিরুক্ত ভাড়া ৷এরই মধ্যে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরিক্ষা, সাগরদিঘী ও ধলাপাড়া কলেজের কেন্দ্র ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ হওয়াতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে পরিক্ষার্থীরা ৷

পেটার আটা গ্রামের সবুজ জানান, বর্ষার সময় হলেই রাস্তার হয়ে যায় বেহাল দশা, যেভানে সেখানে বাঙ্গা স্থানে বর্ষাকলে জমে পানি আর হয় কাদা, চলাচলে দেখা দেয় দুর্ভোগ,সাগরদিঘী থেকে টাঙ্গাইল যেতে যে সময় লাগার কথা তার দ্বীগুন সময় লেগে যায় ৷ আমাদের দাবী যাতে দ্রুত সবকটি ব্রিজের নতুন সংস্কারনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হয় এবং দ্রুত বাস চলাচলের উপযোগী হয় ৷ রাস্তায় যাতে আগের মতোই প্রাণ ফিরে আসে।

এ বিষয়ে উপজেলা পকৌশলি অফিসার ফজলুল কবি জানান, এ সড়কের অনেক ব্রিজ ও কালভার্ট অনেক পুরাতন। যার কারণে এ ব্রিজ গুলো আবার পুন নির্মান করা হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ব্রিজ ঝুকিপূর্ন ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেগুলো পুনরায় নির্মান করা হবে। সেই সাথে ঝড়কার ব্রিজের সাথেই তরিৎ গতিতে তৈরি করা হচ্ছে ঝূলন্ত ব্রিজ ৷ এর ফলে যানবাহন চলাচলের ভোগান্তিটা কিছুটা হলেও লাগব হবে।



মন্তব্য চালু নেই