সুবিবেচনা করবে ইসি, আস্থা ইনুর
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সুবিবেচনা করবেন, এই আস্থা আছে বলে জানিয়েছেন জাসদের এক অংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রকৃত কর্ণধার ও ‘মশাল’ প্রতীক নির্ধারণ নিয়ে দুপক্ষকেই শুনানিতে ডেকেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ শুনানিতে প্রথমেই অংশ নিয়েছেন একাংশের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার।
বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের কনফারেন্স রুমে এ শুনানি শুরু হয়। প্রায় দেড় ঘন্টার শুনানি শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইনু।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জাসদকে আহ্বান করেছিল। গতকাল আমাদের সব কাগজপত্র দলিলাদি জমা দিয়েছি। এই কাগজপত্রের উপর ইসি কিছু প্রশ্ন করেছে, আমরা সেসব প্রশ্নোত্তর করেছি।’
ইনু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আশা করি তারা সুবিবেচনা করবেন।’
দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৩টায় অপর পক্ষের মঈনুদ্দীন খান বাদল ও শরীফ নুরুল আম্বিয়ার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি গ্রহণ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদসহ চার কমিশনার, ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম ও ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দলটির কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে বিভক্ত হয় জাসদ। শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বে একটি পক্ষ কাউন্সিলে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দল থেকে বের হয়ে যায়। তারা নতুন একটি কমিটি গঠন করে, যেখানে তাকে সভাপতি, নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক এবং মঈনুদ্দীন খান বাদলকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়। এ কমিটির তালিকা ইসিতে পাঠিয়ে এই পক্ষ চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তাদের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘মশাল’ প্রতীক দেয়ার দাবি জানায়।
এদিকে অপরপক্ষটি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে সভাপতি এবং শিরীন আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করে। তারাও ইউপি নির্বাচনে তাদের সমর্থিত ২৭ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ‘মশাল’ প্রতীক দেয়ার দাবি জানান। এ নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়ায় উভয়পক্ষের শুনানি করে মশাল প্রতীক বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মন্তব্য চালু নেই