ঘাটাইলে হাট-বাজার ইজারায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে!
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় হাট-বাজার ইজারা দিতে টেন্ডার দুর্নীতি করায় পুণ:দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশ দিলেও তা উপেক্ষা করছে উপজেলা প্রশাসন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ওই নির্দেশনা দেয়। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
জানাগেছে, ঘাটাইল উপজেলার ১৪টি সরকারি হাট-বাজার ইজারা দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি(স্মারক নং-০৫.৩০.৯৩০০.২৮.০০০.১০.০০১.১৫-১৫৫/১০০) দরপত্র আহ্বান করা হয়। গত ৩, ১৬ ও ২৮ মার্চ দরপত্র দাখিলের তারিখ নির্ধারন করা হয়। অভিযোগে জানা যায়, দরপত্রের ৬ নং ক্রমিকের হামিদপুর হাটের সরকারি দর ৮ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০টাকার বিপরীতে ইজারা নিতে স্থানীয় নাটশালা গ্রামের মো. স্বপন মিয়া ১৩ লাখ ৮ হাজার ৮৮৮ টাকা মূল্য উল্লেখ করে যথারীতি পে-অর্ডার কেটে দরপত্র জমা দিতে গেলে কতিপয় ব্যক্তি বাধা দেয় এবং তিনি দরপত্র দাখিল না করে ফিরে আসতে বাধ্য হন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিষয়টি অনুধাবন করে খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
মো. স্বপন মিয়া জানান, জেলা প্রশাসকের কাছে প্রমাণপত্রসহ প্রতিকারের আবেদন করায় জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে আগের দরপত্র বাতিল করে পুণ:দরপত্র আহ্বান করার জন্য নির্দেশনা(স্মারক নং-২১৮, তাং-২৩/০৩/২০১৬ইং) দেয়া হয়। নির্দেশনাটি গত ২৪ মার্চ ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই গ্রহন করেনি, উপরন্তু অনিয়মেই হাটটি ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি চিঠিতে একব্যক্তির অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে, পুণ:দরপত্রের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমি নতুন এসেছি হাট-বাজারের টেন্ডার প্রক্রিয়া আগের ইউএনও সাহেব সঠিকভাবেই করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তারপরও তিনি বিষয়টি পুণরায় খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।
মন্তব্য চালু নেই