অবশেষে মুখ খুললেন ঈশানা

মানহানির মামলায় আদালতের তরফ থেকে গ্রেপ্তার নির্দেশের বিষয়ে মুখ খুলেছেন মডেল ও অভিনয়শিল্পী মৌনিতা খান ঈশানা।

নীলিমা ইসলাম বলেন, মহামান্য আদালতের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমার যে হাজিরার তারিখ নির্ধারিত ছিল সে ব্যাপারে সমনটা আমি হাতে পাইনি। তবে আমি লোকমুখে শুনেছিলাম আমার বিরুদ্ধে মহামান্য আদালত সমন জারি করেছেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে যখন আমার আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করি তখন তিনি আমাকে বলেন যে, মহামান্য আদালতের তরফ থেকে আমাকে অফিশিয়ালি নোটিস প্রেরণ করা হবে। যখন আপনি সেই নোটিস গ্রহণ করে সেখানে স্বাক্ষর করবেন কেবল তখনই এটা গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু সমন হাতে পাইনি। আমার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন যে, সমনটি হাতে না পাওয়ার কারণে আমরা আদালতে উপস্থিত হতে পরিনি।

তার বিরুদ্ধে কেন মামলা করা হলো? এই বিষয়ে ঈশানা বলেন, এই মুহূর্তেই এই বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না। তবে যখন যেখানে যা বলার আমি সেখানে তা অবশ্যই বলবো। এর চেয়ে বেশি কিছু আর এই বিষয়ে বলতে চাই না।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে বাদী প্রযোজক ও অভিনেতা মারুফ খান প্রেম অভিনেত্রী ঈশানার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মানহানির মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২২ মার্চ ঈশানাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন প্রদান করেন। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সূচনা ধার্য তারিখে আসামি ঈশানা আদালতে হাজির না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলা সম্পর্কে মারুফ খান বলেন, কিছুদিন আগে শুটিং সেটে ঈশানা আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য ও অসম্মানজনক কথাবার্তা বলেন। যার ভয়েস রেকর্ডিং আমি হাতে পাই। কিন্তু ঈশানা এই বিষয়টি অস্বীকার করলে আমি তাকে ভয়েস রেকর্ডিং শুনাই। এছাড়াও সে যাদের সামনে বলেছে এমন পাঁচজন সাক্ষীও তার সামনে হাজির করি। তখন অভিনেত্রী ডলি জহুরের মধ্যস্থতায় তাকে সম্মান দেখিয়ে আমি বিষয়টি আর তেমন গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু পরবর্তীতে ঈশানা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বাজে মন্তব্য করায় আমার মানহানি হয়েছে বিধায় আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।



মন্তব্য চালু নেই