বিশ্বের অপরূপ ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
ছেলেবেলার বিদ্যালয় আমাদের কাছে সবসময়ই সুখস্মৃতির। সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে আমরা এগিয়ে যাই ভবিষ্যতের দিকে। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ, তারপর বিশ্ববিদ্যালয়। জ্ঞানের সাধনায় নিজভূমি ছেড়ে অনেকে পাড়ি জমান ভিনদেশেও। ইচ্ছে সবারই থাকে, স্বপ্নের মতো কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের। বিশ্বের এমনিই দশটি মনোরম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিয়ে এই আয়োজন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি :
স্বপ্নময় গম্বুজ আর সোনালি পাথরের এই ক্যাম্পাসের আবেদন আর উৎসাহ ছড়িয়ে আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বিশেষ করে নির্মাণশৈলী প্রকাশ করে ১৮ শতকের ‘র্যাডক্লিফ ক্যামেরা ( ছবির বাম পাশে), বোডলেইয়ান লাইব্রেরি আর ম্যাগড্যালেন কলেজ।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি :
১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘আমেরিকার সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ড বিখ্যাত এর লাল দালান আর গাছ-পালায় ভরপুর চত্বরগুলোর জন্য। সুপ্রাচীন আর অভিজাত জর্জিয়ান নির্মাণশৈলীর অন্যতম নিদর্শন এখানকার ম্যাসাচুসেটস হল, যা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে পুরাতন ভবন। ম্যাসাচুসেটস হলে স্থান পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টদের অফিস।
কেপটাউন ইউনিভার্সিটি :
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিল্ডিংগুলো এই লিস্টে থাকা বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো অত বাহারি না হলেও, পুরো ক্যাম্পাস ঘিরে রাখা পর্বতের চূড়াগুলো একে করে তুলেছে নয়নাভিরাম।
মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটি :
রাতের বাহারি আলোকসজ্জা দেখে মনে হতেই পারে, এটি কোনো অভিজাত হোটেল; কিন্তু আসলে এটি রাশিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি। মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রধান ভবনকে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘শিক্ষা অবকাঠামো।’
বোলোগনা ইউনিভার্সিটি :
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় ইতালির বোলোগনা বিশ্ববিদ্যালয়, যার প্রতিষ্ঠা ১০৮৮ সালে। প্রাণোচ্ছল ইউনিভার্সিটি কোয়ার্টার, লাল ছাদের বিল্ডিংগুলো আর আকাশ্চূম্বী সব পিলার মিলিয়ে এই ক্যাম্পাসকে করে তুলেছে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোর একটি।
টরন্টো ইউনিভার্সিটি :
আকর্ষণীয় সব বিল্ডিং নিয়ে গঠিত ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিল্ডিংই মুলত ‘রোমান’ আর ‘গথিক রিভাইভাল’ স্থাপত্যকলার মিশ্রণে তৈরি, যার আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠে শীতকালে।
ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি :
অক্সফোর্ড যে তালিকায় রয়েছে, ক্যামব্রিজ কি আর সেখানে না থেকে পারে! ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজ চ্যাপেল আরে ক্যাম্পাসের পেছন দিককার নদীর (ব্যাকস নামে পরিচিত) এলাকাটিই মুলত নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের।
সালামাঙ্কা ইউনিভার্সিটি :
পশ্চিম স্পেনের এই বিশ্ববিদ্যালয় ‘না দেখলেই নয়’ এমন একটি স্থাপনা। ১৩ শতকে নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ করা হয়েছে সুসজ্জিত স্প্যানিশ স্টাইলে যা ‘প্ল্যাটারেস্ক’ নামে পরিচিত। বিশাল এই অট্রালিকার সদর দরজাটি বিশেষভাবে নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। অসংখ্য খোদাইয়ের সমারোহ এখানে, যার মাঝে একটি মাথার খুলির ওপর বসানো আছে একটি ব্যাঙ। প্রচলিত আছে যে ব্যক্তি এই ব্যাঙকে খুঁজে পায়, সে ভাগ্যবান।
মুম্বাই ইউনিভার্সিটি :
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয় ১৯ শতকে যার ভেতরে রয়েছে অনেক সুন্দর বিল্ডিং, যার মধ্যে পেঁচানো সিঁড়িতে নজর কাড়ে সবার। এই ক্যাম্পাসের ‘বিগ বেন’-এর ওপর মডেল করা এবং এটি মুম্বাইয়ের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ল্যান্ডমার্ক।
সিডনি ইউনিভার্সিটি :
এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুন্দর দিক হচ্ছে এর ‘নিও-গথিক’ চতুষ্কোণ, ১৮৫০ সালে যার ডিজাইন করেন এডমুন্ড ব্ল্যাকেট। ‘গ্রেট হল অব ওয়েস্টমিনিস্টার’-এর আদলে নির্মিত ‘দি গ্রেট হল’ প্রশংসিত দর্শনার্থী মহলে। এই হলের বিষয়ে অ্যান্থনি ট্রোলোপ লিখেন যে, এত সুন্দর অনুপাতে নির্মিত কোনো হল অক্সফোর্ড অথবা ক্যামব্রিজেও নেই।
মন্তব্য চালু নেই