খালেদায় মর্মাহত হাবিব সমর্থকরা!
নতুন কমিটি গঠন নিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে বিদ্যমান অস্থিরতার পাশাপাশি সদ্য বিদায়ী হাবিবুর রশিদ হাবিবের সমর্থকরা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে কিছুটা মর্মাহত হয়েছেন।
টুকু-আলীম কমিটিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন হাবিবুর রশিদ হাবিব। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে গুলিবদ্ধ হতে হয়েছে তাকে। হাবিবকে হাসপাতালে দেখতেও গিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। কিছু রাজনৈতিক সমালোচনা থাকলেও দলের প্রয়োজনে তাকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ উপহার দেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সুবাদে সারাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।
৫ জানুয়ারির পর বেগম খালেদা জিয়া জুয়েল-হাবিব কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি সেসময় ছাত্র নেতাদের বলেছিলেন, ‘জুয়েল-হাবিব জেলে আছে। তাদের রেখে কমিটি করা মানবিক হবে না।’ তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী অনড় থাকতে পারেননি খালেদা জিয়া।
২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আমেরিকা থাকা অবস্থায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হাবিবুর রশিদ হাবিবের নাম ঘোষণা করা হয়। আর ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাতে তাকে জেলে রেখেই সেই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি নিতে হলো।
হাবিবকে জেলে রেখে নতুন কমিটি দেয়ায় হাবিব সমর্থকদের বেশ কয়েকজন ছাত্র নেতা মর্মাহত হয়েছেন। এ প্রতিবেদককে তাদের শান্ত্বনার কথাও জানিয়েছেন। তারা দলের যে কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। চলতি মাসের ২১ তারিখ রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিব। পরে সেখান থেকে গুলশানে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন।
বুধবার দুপুরে যান মির্জা আব্বাসের বাসায়। তখন সঙ্গে কথা হয় হাবিবুর রশিদ হাবিবের।
তিনি জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে তার বাবা একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। আর সব মিলিয়ে ভালো আছেন।
হাবিবকে জেলে রেখে নতুন কমিটি দেয়ায় তার সমর্থকদের মর্মাহতের বিষয়ে ছাত্র দলের সদ্য বিদায়ী এ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের প্রয়োজনে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে তার প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।’
মন্তব্য চালু নেই