নারী দিবসে চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য স্বীকৃতি পেলেন পূর্ণিমা

বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী পূর্ণিমা’কে এখন আর সেভাবে চলচ্চিত্রের পর্দায় দেখা যায় না। তবে একসময় পর্দা কাঁপিয়েছেন। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।তবে এবার চলচ্চিত্রে অবদানের জন্য তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন আমরা কুঁড়ি।

গত ১৫ মার্চ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে পূর্ণিমার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এখানে প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন মৌটুসী পার্থ।

এদিকে পূর্ণিমা জানালেন, বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্রে অবদান রাখার জন্য বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হলো আমাকে। ধন্যবাদ আমরা কুঁড়িকে।’

পূর্ণিমা ‘ক্যান্ডি ক্রাশ’ নামের একটি ধারাবাহিকটির নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন পূর্ণিমা। এতে তার সহশিল্পী থাকছেন তৌসিফ মাহবুব, সুমন পাটওয়ারী, সাফা কবির, সাবিলা নূর ও সালমান মুক্তাদির। আর চিত্রনাট্য লিখেছেন ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, পরিচালনা করছেন রেদওয়ান রনি।ধারাবাহিকটি তৈরি হচ্ছে নাগরিক টিভির জন্য।

পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলো হলো- ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘ছোট্ট একটা ভালোবাসা’, ‘আকাশছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘সুলতান’, ‘শাস্তি’, ‘শুভা’, ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘পিতামাতার আমানত’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘সাথী তুমি কার’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘মায়ের জন্য পাগল’ প্রভৃতি।

কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০১০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ঘরে তুলেছেন পূর্ণিমা। বছর কয়েক আগে ব্যবসায়ী ফাহাদ জামালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের ঘর আলোকিত করে ২০১৪ সালে কন্যা সন্তান আরশিয়ার জন্ম হয়।



মন্তব্য চালু নেই