ইউপি নির্বাচনঃ ২ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংর্ঘষ, উত্তেজনায় ১জনের মৃত্যু

মোঃ ফজলে আলম ভোলা, থেকে: ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের শান্তির হাট গ্রামে সিরাজ (৫৫) নামে এক কৃষকের রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার অভিযোগ করছে,চর সামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীরের লোকজনের মারধরের ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে সে মারা যায়।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহত সিরাজের সাথে এক বিধবা নারীর অনৈতিক সর্ম্পকের অভিযোগ তুলে শান্তির হাট গ্রামে এলাকাবাসীর সাথে নিহত সিরাজের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে মেম্বার প্রার্থী বজলু এসে ঘটনা মিমাংশা করে দেয়। পরবর্তীতে রাত ১২ টার দিকে অপর মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর শনিসহ তার লোকজন নিহত সিরাজের বাড়ি থেকে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় মেম্বার প্রার্থী বজলুও জাহাঙ্গীর গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মেম্বার প্রার্থী বজলুর ভাই রফিক সরদারকে মারধর করে। পরে ভোলা থানার এসআই সাইদ ঘটনা স্থলে গিয়ে একটি চাকু উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এদিকে সকালে নিজ বাড়িতে সিরাজ হঠাৎ বুকে ব্যাথা হচ্ছে কয়েক বার বলার পর তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সকালে ভোলা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে । এসময় নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ সুরতহাল করে লাশ মর্গে প্রেরন করে। তবে নিহতের স্ত্রী কমলা বেগম অভিযোগ করেন,মেম্বার প্রার্থী বজলু তার আতœীয়। তার পক্ষে নির্বাচন করায় প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর,শামিম,ইয়াসিন বৃহস্পতিবার রাতে মারধর করার কারনে তার স্বামী সিরাজের মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে মেম্বার প্রার্থী বজলু বলেন, নিহত সিরাজ তার নির্বাচন করতো। তাই তাকে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর শনিসহ তার লোকজন মারধর করে। পরে সকালে তার মৃত্যু হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে মেম্বার প্রার্থী জাহাঙ্গীর নিজেকে নির্দোশ দাবী করে বলেন, সিরাজ র্দীঘ দিন ধরে অসুস্থ্য। খোদার হুকুম মতো তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় তিনি এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মাতাব্বরের কাছে ছিলেন। রাতে ২ পক্ষের মধ্যে মৌখিক তর্কবির্তক হয়।

এ ব্যাপরে ভোলা থানার ওসি খায়রুল কবির জানান, ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষ ঘটনা সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।



মন্তব্য চালু নেই