বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া টাকা কি ফিরে আসবে?
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশী আইটি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়ে অর্থ চুরির ঘটনা তদন্ত করছে।
বুধবার ঢাকায় সকল ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং আইটি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ব্যাংক একথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশে ব্যাংক বলেছে, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অর্থ লেনদেনের আইটি ব্যবস্থাপনায় কোন ঘাটতি আছে কিনা, বিশেষজ্ঞরা সেটা খতিয়ে দেখবে।
ফেডারেল রিজার্ভের বিরুদ্ধে মামলার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি ডলার জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে তোলপাড় অব্যাহত রয়েছে।
বড় অংকের অর্থ চুরির ঘটনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধেই ঘাটতির অভিযোগ করা হয়েছিল।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা অস্বীকার করেছে।তবে এই অর্থ চুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকেত কোড বা সুইফট কোড ব্যবহারের কথা এসেছে।
এখন বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, তাদের কোন ঘাটতি ছিল কিনা, সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংকের আইটি প্রধান এখন বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি প্রকল্পে কাজ করছেন।
তার নেতৃত্বে বিদেশী এবং দেশী আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।বাংলাদেশের সকল ব্যাংকের আইটি ব্যবস্থাপনায় কোন ঘাটটি আছে কিনা, বিশেষজ্ঞরা সেটা চিহ্নিত করবে।
কিন্তু অর্থ চুরির ঘটনার অনেকটা সময় পরে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক তা প্রকাশ করে। ঘটনাটি আসলে কিভাবে ঘটলো, সেটাও এখনও পরিষ্কার নয় বলে বলা হচ্ছে।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলছিলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু বিষয় আছে, যেমন স্বাভাবিক একটা লেনদেনের ক্ষেত্রে কোন ঘাটতি হয় কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।”
অর্থ চুরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট কোড ব্যবহার হওয়ার যে বিষয় এসেছে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা মি: হাসান বলেছেন, দেশের ভিতরে এবং বাইরে কারা জড়িত আছে।
সেটি বের করার বিষয়ে তদন্তে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ঘটনা নিয়ে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মামলা করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেছেন,আইনগত বিষয়গুলোও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।এই পর্যালোচনা শেষে মামলা করা না করার প্রশ্ন আসবে।
এখন চুরি যাওয়া অর্থ কিভাবে ফেরত আনা হবে, সে বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা পরিষ্কার করে কিছু বলছে না। বিবিসি বাংলা
মন্তব্য চালু নেই