অনৈতিকভাবে বসবাস: প্রবাসীর স্ত্রীসহ ইসলামি ব্যাংকের অফিসার আটক
ঝিনাইদহে ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমানকে এক প্রবাসীর স্ত্রীসহ আটক করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মালামাল লুট ও অনৈতিকভাবে বসবাসের অভিযোগ রয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিয়ের কথা স্বীকার করেলেও সংশ্লিষ্ট কাজী তা অস্বীকার করেছেন।
বুধবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় আটক রাখা হয়। ব্যাংকটির ম্যানেজার (ভিপি) শেখ আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসপিও তৌহিদুর রহমান খুলনার গল্লামারি এলাকার এনায়েত হোসেনের ছেলে।
ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাঞ্চন নগর পাড়ার আলী আহম্মদের সৌদি প্রবাসী ছেলে নুর আলমের স্ত্রী ছিলেন আমিনা পারভীন স্মৃতি। নাতাশা আইভি নামের ৮ বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা উত্তোলনের জন্য স্ত্রী আমিনা পারভীন স্মৃতি প্রায় ব্যাংকে যাতায়াত করতেন। এ ফাঁকে ব্যাংকের এসপিও তৌহিদুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। তারা গত বছরের আগস্ট মাসে একটি ভুয়া কাবিন নামা তৈরি করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকে।
বিষয়টি সন্দেহ জনক হওয়ার কারণে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে আনে।
এদিকে স্মৃতির দেবর ফারুক হোসেন ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে তার ভাবী স্মৃতি ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমানের যোগসাজসে বাসা থেকে নগদ ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দিয়েছে।
দেবর ফারুক জানান, তার ভাই নুর আলম দীর্ঘ ১৫ বছর প্রবাস থেকে স্ত্রীর নামে ইসলামী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় ২০৫৬১ নাম্বার সঞ্চয়ী হিসাবে লাখ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। এই টাকার মধ্যে ৫/৬ লাখ টাকা নিয়ে তার ভাবী ভেগে গেছে। ভাইয়ের পাঠানো টাকায় সে জমিও কিনেছে।
থানায় আটক স্মৃতি খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘ ১৫ বছর খোঁজ নেয় না। এ কারণে ২০১৫ সালের মে মাসে তাকে আমি তালাক দিয়েছি।
ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) তৌহিদুর রহমান জানান, আমার স্ত্রী মরিয়মের ব্যবহার ভাল না। তাই আমি জীবনে সুখী হতে স্মৃতিকে নিয়ে কাজি হাফিজুর রহমানের কাছে গিয়ে বিয়ে করেছি।
তবে, কাজি হাফিজ স্মৃতি ও তৌহিদের বিয়ে পড়াননি বলে জানিয়েছেন।
ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজারের দেয়া তথ্য মতে ২০১৫ সালে ২০৫৬১ নাম্বারের হিসাবটিতে ৩ লাখ টাকার বেশি জমা করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, সার্বিক বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই