টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের হয়নি কোন উন্নয়ন
ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ: অদম পশুর জন্য কেহ এগিয়ে আসছে আসছে না। রোদে শুকাই বৃষ্টিতে ভেজে কাদাঁয় ঘুমাই। এ হচ্ছে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের হাল হকিকত। বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ গবাদী পশু মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশী বাণিজ্য ব্যবসায়ীগণ আমদানী করছে। আমদানীকৃত গবাদী পশু হতে সরকার প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করছে। অথচ গবাদী পশু থাকা, খাওয়া ও পানিয় জলের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। করিডোর পরিদর্শনে দেখা যায়, শত শত গবাদী পশু প্রচন্ড রোদে দাড়িঁয়ে হা-হা করছে। রোদ থেকে রক্ষার জন্য কোন ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়নি। পানির জন্য অনেক পশু নাফ নদীতে ঝাপঁ দিচ্ছে। অথচ সেখানে লবণাক্ত পানি হওয়ায় পিপাসা মেটাতে না পেরে ডাঙ্গায় চলে আসছে। অপর দিকে খাওয়ার কোন খাদ্য নেই। নেই কোন খড়, গম, ভুষি ইত্যাদি কিছুই নেই। অদম পশু হওয়ায় তাদের ব্যথা কেহ আঁচ করছেনা। এ ব্যাপারে গবাদী পশু ব্যবসায়ী মোঃ শরীফ, মোঃ কাশিম, লালু, আব্দুর রহমান, আবু ছৈয়দ ও জিয়াউর রহমান জানান, আমরা দীর্ঘ বছর করিডোর শুরু হতে এ পর্যন্ত এ ব্যবসা চালিয়ে আসছি। প্রতিদিন বড় বড় বোট ও ট্রলারের মাধ্যমে মিয়ানমার হতে বিভিন্ন প্রজাতির গবাদী পশু বাংলাদেশে নিয়ে আসছি। এ পশুর বিপরীতে টেকনাফ স্থলবন্দর কাষ্টম বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করছে। এমন কি প্রতিটি গরু ৫শ, মহিষ ৫শ ও ছাগল ২শ টাকা করে আদায় করছে। প্রতিদিন এ খাতে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় করলেও পশু রাখা, খাদ্য, পানি ও ছাউনির কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এমন কি রাজস্বের টাকা পর্যন্ত বিশ মাইল পাঁিড় দিয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরে দিয়ে আসতে হয়। রাজস্ব আদায়ের ব্যপারে যেমনি কোন সু-ব্যবস্থা নেই তেমনি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও বসার বা বিশ্রামের কোন সু-ব্যবস্থা নেই। এ ব্যপারে টেকনাফ স্থল বন্দর রাজস্ব কর্মকর্তা নো-চু প্রু এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা করিডোরের ব্যবসায়ী ও পশুর সংরক্ষণ এ বাসস্থান ইত্যাদি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বারংবার লিখিত ভাবে জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন বাজেট না আসায় এর সু-ব্যবস্থা করতে বিলম্ব হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই