‘বিএনপি মনোনীত ১৭৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বঞ্চিত’
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দুই দফা মিলে মোট ১৭৮ জন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রোববার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, বিএনপি’র ৮৩ জন প্রার্থী প্রথম দফায় মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি, দ্বিতীয় দফায় ৫৮ জন বিএনপি প্রার্থী সরকারী দলের সন্ত্রাসী বাধায় মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারেননি, ৩৭ জন বিএনপি’র প্রার্থী জমা দেয়ার পরও জোরপূর্বক প্রত্যাহার করা হয়েছে অথবা ঠুনকো অভিযোগে তাদের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। দুই দফা মিলে মোট ১৭৮ জন বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশজুড়ে ইউপি নির্বাচনী এলাকায় শাসকদলের সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া সন্ত্রাসী তৎপরতায় ভয়াল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে শত অভিযোগের পরও তারা নির্লজ্জভাবে নির্বাচনী সহিংসতাকে কোন আমলে নেননি। আর এটি করতে গিয়ে শাসকদলের ক্যাডার’রা নির্বাচনী এলাকায় যে উন্মত্ত সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মান করেছে সেটি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন চোখ বন্ধ করে রেখেছিলেন।
‘প্রধান বিচারপতির সরে যাওয়া উচিৎ, তিনি বিএনপি-জামায়াতের সুরে কথা বলছেন’ বলে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল এবং মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক যে মন্তব্য করেছেন তা রাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র অঙ্গ হিসেবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর নগ্ন হস্তক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, এইসব বক্তব্যে আবারো প্রমানিত হলো-‘৭৫ এর একদলীয় বাকশাল তার সকল আগ্রাসী শক্তি নিয়ে পূণর্জন্ম লাভ করেছে। বিএনপি বারবার দাবি করেছিল-বর্তমান ভোটারবিহীন ম্যান্ডেটবিহীন সরকার রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজেদের ইচ্ছামতো পরিচালিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের এইসমস্ত অঙ্গের যেসমস্ত পরিচালকরা যখনই স্বাধীন স্বত্তা নিয়ে কাজ করেছেন বা কথা বলেছেন তখন তাদেরকেও সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনের শাসনের পক্ষে ন্যায়সঙ্গত কথা বলা শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গেলেই তখন তারা সকল মাত্রা অতিক্রম করে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মাননীয় প্রধান বিচারপতির ওপর এই আক্রমণ আইন অমান্যকারী অপরাধী গ্যাংদের সমতুল্য। মাননীয় প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মন্ত্রীদ্বয়ের বক্তব্য ধৃষ্টতাপূর্ণ, উস্কানিদানকারী, দূরভীসন্ধিমূলক চক্রান্তের পথে অগ্রসর হওয়া। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই