চাঁদা দিলেই বেঁচে যেতো আমার ভাই!
নরসিংদী পৌর শহরের বাসিন্দা রফিক খোন্দকার নির্মাণ করছিলেন নতুন বাড়ি। এরপর থেকে শহরের কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজ চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে চাঁদাবাজরা যথারীতি চাঁদা নিতে আসে রফিক খোন্দকারের কাছে। এবারও তাদের চাদা দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়। এক পর্যায়ে রফিক খোন্দকার তার শ্যালক খোকন খোন্দকারকে (৩৩) খবর দেন।
খোকন তার অপর এক বন্ধু আরিফ খোন্দকারকে (৩২) সঙ্গে করে চাঁদাবাজি ঠেকাতে দুলাভাইয়ের বাড়িতে উপস্থিত হন। এরপর চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করেন। এসময় চাঁদাবাজরা ক্ষিপ্ত হন। তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে চাদাবাজরা খোকন ও আরিফকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তারা দুজন।
গুলিবর্ষণের শব্দে আশপাশের লোকজন সেখানে এগিয়ে এলে চাঁদাবাজরা মোটরাসাইকেল করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ খোকন ও আরিফকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিহত খোকনের বড় ভাই সেলিম খন্দকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করাই কাল হলো আমার ভাইয়ের। সন্ত্রাসীদের কথামতো তাদের চাঁদা দিয়ে দিলেই বেচে যেতো আমার ভাই!
গুলিতে দুই যুবকের নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কেন ও কীভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সঠিক কারণ জানা যাবে।’
মন্তব্য চালু নেই