মিরপুরের উইকেটে চিন্তিত ভারত!

সাপের মতো ফণা তুলে আসছে বল! ধুমধাড়াক্কা শটস খেলা তো দূরের বিষয়, প্রাণ বাঁচানোই যে দায় এখানে! হ্যাঁ, এমন ভয়ানক উইকেটেই হচ্ছে এশিয়া কাপ। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে সাধারণত এমন পেস উইকেট দেখা যায় না। গতকাল ভারতের প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক রোহিত শর্মা জানান, মিরপুরের উইকেট দেখে তিনি বেশ অবাকই হয়েছেন। এ উইকেটের কারণে পাকিস্তানের শক্তিশালী বোলিং লাইনের বিপক্ষে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।

পাক-ভারত মহারণকে সামনে রেখে গতকাল বিকেলে দু’দলই অনুশীলন করেছে ফতুল্লায়। সেখানে রোহিত শর্মা জানান, পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসারদের মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত আছেন তারা। রোহিত বলেন, ‘তাদের বোলিং আক্রমণ সমীহ করার মতো, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমরা আমাদের শক্তি নিয়ে ভাবছি, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে ব্যাটিং। উইকেট বিবেচনা করে আমরা সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি।’ সব সময়ই ভারতের শক্তির জায়গা হলো ব্যাটিং; কিন্তু রোহিত উইকেটের কথা তুলতেই রহস্যটা বোঝা গেল। গত ম্যাচে মিরপুরের উইকেট দেখে কিছুটা অবাক হয়েছেন বলেও জানান রোহিত, ‘আমার টি২০ ইনিংসগুলোর মধ্যে অন্যতম কঠিন ছিল সেটি। বিশ্বের কোনো জায়গাতেই সাধারণত কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে এ ধরনের উইকেট খুব একটা দেখা যায় না। তবে যে ধরনের উইকেট পাব, সেখানেই তো খেলতে হবে। এর পরও গত ইনিংসটিকে আমি এগিয়ে রাখব। এ উইকেটে ব্যাটিং করা মোটেও সহজ ছিল না। এ ছাড়া আমাদের বেশ কয়েকটি উইকেটও পড়ে গিয়েছিল।’ এতক্ষণ যেন ভয়ের কথাই বলছিলেন রোহিত। কারণ বাংলাদেশের পেসাররা যেখানে তাদের ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল, সেখানে নিশ্চিতভাবেই পাকিস্তানের পেসারদের বিপক্ষে আরও বড় চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। আমের, ওয়াহাব রিয়াজ, ইরফান, সামির মতো পেসার আছে পাকিস্তানের।

তবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি তাদের আছে বলে জানান রোহিত, ‘আমরা পাকিস্তানের পুরো বোলিং ইউনিটের ওপরই মনোযোগ রাখছি। আর আমাদের ব্যাটিং লাইন বেশ লম্বা। তাই টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও হাল ধরার মতো ব্যাটসম্যান আছে। এই যেমন বাংলাদেশের বিপক্ষে হার্দিক সেটা করে দেখিয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই