কাদের সিদ্দিকী কি আ.লীগে ফিরছেন?
ঘরের ছেলে কি শেষ পর্যন্ত ঘরে ফিরছেন? বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ে এখন এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে “হ্যা” না “না” কিছুই বলছেন না কাদের সিদ্দিকী। জানা গেছে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তমকে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী করা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে একথা জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুহ-উল-আলম লেনিন এ ধরণের প্রস্তাবের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, এটা স্রেফ গুজব। এর কোনো ভিত্তি নেই।তিনি বলেন, মানুষ আসলে সৃজনশীল।অনেক কথাই মানুষ বলতে পারেন এবং বলেন। তবে এ ধরণের বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই।
তবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম-মহাসচিব ইকবালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রীত্ব, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কত কিছুরই তো অফার আছে। আমাদের নেতা সেই সব অফার গ্রহণ করবেন কিনা সেটাই বড় কথা।’
কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আপনারাই তো ভালো জানেন, আমি কি বলব?’
শেখ হাসিনার সরকারে আপনার মন্ত্রী হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, তাই নিশ্চিত হতে ফোন করলাম। জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যারা ইঙ্গিত দিচ্ছে তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন।’
সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে বিতর্কিত কথা বলে মন্ত্রিসভা ও দলের পদ হারিয়েছেন কাদের সিদ্দিকীর বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী। টাঙ্গাইল জেলায় আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত রাজনৈতিক অবস্থানের হিসেবেনিকেশ, স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সিদ্দিকী পরিবারের অবদানের কথা চিন্তা করেই কাদের সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভায় এবং দলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সূত্রটি আরো জানায়, কাদের সিদ্দিকী মনে করেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা হুকুম তালিমের কাজ করেন। এই কাজ করার জন্য তার আওয়ামী লীগে কিংবা সরকারে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। কারণ এ সব কাজ তার দ্বারা সম্ভব হবে না।
১৯৯৯ সালে দলের সঙ্গে মতভেদের কারণে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করে নতুন দলের মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার তাকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করে। বঙ্গবীর নামেও তিনি পরিচিত।
মন্তব্য চালু নেই