যত কাছাকাছি হবে দেহের গন্ধেই বদলে যায় প্রতিক্রিয়া!
নিজের গায়ের গন্ধ আপনি যেভাবে সহ্য করবেন তেমনটা অন্যের গায়ের গন্ধ সহ্য করবেন না। কিন্তু অন্য কারো গন্ধ সহ্য করার বিষয়টি নির্ভর করে সে আপনার কতখানি কাছের, তার ওপর। অর্থাৎ কারও দেহের গন্ধ আপনি কিভাবে নেবেন তা অনেকাংশে নির্ভর করে সে মানুষটি আপনার কাছের নাকি দূরের তার ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে অন্য কোনো মানুষ আপনার যত কাছাকাছি হবে আপনি তার গায়ের গন্ধকে ততই সহ্য করবেন।
এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। বিষয়টি উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের সেন্ট অ্যান্ডিউস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায়। এতে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি যখন অন্য একজনের ব্যবহৃত ও গন্ধভরা একটি টিশার্ট ধুতে নেন তখন তার গন্ধ সহ্য করার বিষয়টি প্রভাবিত হয়। এক্ষেত্রে সে মানুষটি যদি আপনার কাছের মানুষ হয় তাহলে তার গন্ধ আপনি অনেক বেশি সহ্য করবেন। এমনকি সে যদি আপনার বাড়ির মানুষ হয় কিংবা আপনার একই কলেজের শিক্ষার্থী হয় তাহলেও আপনি তা সহ্য করবেন। কিন্তু তা যদি অন্য কোনো কলেজের শিক্ষার্থী হয় তাহলে তা আপনার সহ্য করার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে। গবেষকরা এ বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য জিমে এক ঘণ্টা করে অনুশীলনের পর টি শার্টটি ব্যবহার করেন। এজন্য টি শার্টটি সে ব্যক্তির সহকর্মী ও অন্যরা কিভাবে গ্রহণ করেন তা জেনে নেওয়া হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের জিমে ব্যবহৃত সে টিশার্টটি যখন অন্যদের দিয়ে বলা হয় এটি তার সহকর্মী ও কাছের কোনো মানুষের তখন তারা এটি সহজেই গ্রহণ করে।
কিন্তু সেই একই টিশার্ট যখন বাইরের কোনো মানুষের হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় তখন তারা তাতে বিব্রতবোধ করে। এ বিষয়ে সামাজিক মনোবিদ স্টিফেন রেইচার বলেন, ‘আমরা এতে দেখছিলাম দলের ভেতর সংযোগ কিভাবে সম্ভব হয়।’ তিনি আরও জানান এতে বহু উপায়েই সামাজিক উপায়ে বিতৃষ্ণা প্রভাবিত হয়ে থাকে বলে দেখা গেছে। এতে কিছু আবেগ কাজ করে, যা আমাদের বিচ্ছিন্ন করে। এ গবেষণার জন্য যে টিশার্ট ব্যবহৃত হয় তা একজন রিসার্চ অ্যাসিসটেন্টের ছিল। তিনি এটি পরে এক ঘণ্টা জিমে ব্যায়াম করেন। এরপর তা বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছে দেওয়া হয় এবং সে বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। গবেষণায় উঠে আসে একই কলেজের কিংবা কাছের মানুষের টিশার্ট হিসেবে তা পরিচয় করিয়ে দিলে তখন তা মানুষ সহজেই সহ্য করে। কিন্তু যখন সেই একই টিশার্ট দূরের কোনো মানুষের হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় তখন তা সহজে সহ্য করে না। এ বিষয়ে গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে নিউসার জার্নালে।
মন্তব্য চালু নেই