কমবয়সী বাবা-মা হলে এড়িয়ে চলুন এই অর্থনৈতিক ভুলগুলো
সন্তানের কন্ঠে মা কিংবা বাবা ডাকের মতন মধুর শব্দ পৃথিবীতে খুব কমই আছে। তবে একটি সন্তানের অর্থ কিন্তু কেবল এই অপার্থিব ভালোলাগাই নয়। এছাড়াও একজন ছোট্ট মানবশিশু জন্মের সাথে সাথে নিয়ে আসে নানারকম বাড়তি ঝামেলাও। বিশেষ করে বাবা-মার বয়স যদি হয় অনেকটা কম তাহলে তো আর কথাই নেই। মানসিক, সামাজিক ও আরো নানা সমস্যার ভেতরে এ সময় সবচাইতে বড় সমস্যা আসে অর্থনৈতিক দিক থেকে। বাবা-মায়েরা, বিশেষ করে কমবয়সী বাবা-মায়েরা খুব সহজেই কিছু সাধারন অর্থনৈতিক ভুল করে বসেন। যদি আপনিও হন একজন কমবয়সী বাবা-মা তাহলে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। কে জানে, আরো অনেকের মতন এই ভুলগুলো হয়তো করছেন আপনিও!
১. সঞ্চয় না করা
কেবল কমবয়েসী বাবা-মাই নয়, প্রায় প্রতিটি মানুষের জীবনের অত্যন্ত বড় একটি ভুল হচ্ছে ভবিষ্যতের কথা না ভাবা। বর্তমানকে নিয়েই ব্যস্ত থাকা। আর এই ভুলের কারণে পরবর্তীতে ভুগতেও হয় তাদেরকে প্রচুর। বিশেষ করে কমবয়েসী বাবা-মায়েরা নিজেদের ও নিজেদের সন্তানের জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করতে নিজেদের আয়ের প্রায় পুরোটাই খরচ করে ফেলেন। হাতে রাখেন না কিছুই। ফলে হঠাত্ কোন একটি দূর্ঘটনায় বা দরকারে প্রচন্ড সমস্যায় পড়তে হয় তাদেরকে। এছাড়াও শেষ বয়সে গিয়ে এই অতিরিক্ত খরচের পরিণাম ভুগতে হয় বেশ ভালোভাবেই। তাই সন্তান ও নিজেদের জন্যে খরচ করুন। তবে আয় যতটা হোক না কেন কিছুটা হলেও তার ভেতর থেকে সঞ্চয় করুন ( প্যারেন্ট )।
২. প্রয়োজন নয়, বিলাসিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া
কমবয়েসী বাবা-মায়েদের আরেকটি অর্থনৈতিক ভুল হচ্ছে যে ভবিষ্যত সম্পর্কে খুব একটা ভালো সচেতন না হওয়ায় এবং জীবন সম্পর্কে খুব একটা বাস্তব অভিজ্ঞতা না থাকায় বিলাসি ব্যাপারগুলোর দিকে ছুটে যান তারা প্রথমেই। আর তাই পরবর্তীতে মাসের শেষে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় তাদেরকে। তাই এ ব্যাপারটি মাথায় রাখুন আর বিলাসিতা নয় বরং প্রয়োজনের দিকে তাকান ( চিটশিট )। সন্তানের জন্যে বাড়তি কোন খেলনা না কিনে ডায়াপার, খাবার বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বেশি কিনুন।
৩. নতুনের দিকে ঝুঁকে পড়া
সন্তান জন্মের পরপরই অত্যাধিক উত্তেজনা আর আনন্দের চোটে নিজেদের সমস্তটা খরচ করে নতুন আর ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র কিনতে চান নতুন বাবা-মায়েরা। বিশেষ করে কমবয়েসীদের এ দিকে আগ্রহ থাকে আরো বেশি। অন্যদের সাথে তুলনা করে আনন্দ পেতে মজা অবশ্যই লাগবার কথা। কিংবা নিজের সন্তানকে ভালো কিছু কিনে দিতে অবশ্যই ইচ্ছে করতে পারে আপনার। কিন্তু তাই বলে নিজের সব টাকা এর পেছনেই না উড়িয়ে সস্তা আর নিজের বা অন্যদের ব্যবহৃত কিছু পণ্যও ব্যবহার করতে পারেন আপনি আপনার সন্তানের জন্যে। কারণ, আজ যেটা ব্র্যান্ডের কোন কাপড়, দুই মাস পর সেটাকেই আর দশটা সাধারণ কাপড়ের থেকে আলাদা করতে পারবেননা আপনি। আর তাই টাকা নয়, বরং সন্তানের আরাম আর নিজের অর্থনৈতিক অবস্থানকে প্রথমে যাচাই করে নিন কিছু করার আগে ( চিটশিট )।
৪. জীবন বীমা না করা
কমবয়েসী বাবা-মায়েদের মাথায় এই ব্যাপারটা অনেক সময়ই থাকেনা যে এখন তারা আছেণ। অথচ কোন একটা সময় এমন হতে পারে যে হঠাত্ করেই তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ল বা বড় কোন দূর্ঘটনা এসে হাজির হল। তখন তাদের ছোট্ট শিশুটির কি হবে? আর তাই ভবিষ্যতের এই ঝামেলাগুলোর কথা ভেবে, মৃত্যুর পরেও যেন সন্তান ভালো থাকে, সুরক্ষিত থাকে সেটা ভেবেই জীবনবীমা করে রাখা খুবই দরকার ( নিউ প্যারেন্ট )। যদিও বাস্তবে বেশিরভাগ বাবা-মাই ব্যাপারটাকে এড়িয়ে যান বা হেসেই উড়িয়ে দেন।
মন্তব্য চালু নেই