বিএনপিতে থাকছে না ‘ডাবলিং’!

ঢাকা: তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যান, সেই সঙ্গে জেলা বিএনপিরও সভাপতি। কেউ আবার অঙ্গসংগঠনের সভাপতি হয়েও আঁকড়ে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকীয় পদ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিতে এমন নেতার সংখ্যা ভূরি ভূরি।

তবে এবার দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে ‘এক নেতার এক পদ’ নীতি গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কথা ভাবছে দলটি।

অবশ্য ‘এক নেতা এক পদ’-এর কথা দলের গঠনতন্ত্রেও বলা আছে, যদিও বিশেষ প্রয়োজনে সেটি শিথিল হতে পারে। এবার এই ‘শৈথিল্য’-এর ক্ষেত্রেই আনা হবে কড়াকড়ি।

দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী মার্চের মধ্যে দলের জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শনিবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়।

তবে মার্চের কত তারিখে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, তা স্পষ্ট না করলেও সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ১৮ ও ১৯ মার্চের কথা ভাবা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

অবশ্য বৈঠক চলাকালে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, মার্চের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারিখ ও ভেন্যু পরে জানানো হবে।

বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। এরপর দুই দফায় কাউন্সিল করার কথা ভাবলেও শেষ পর‌্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি দলটি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘এক নেতার এক পদ’ রাখা-না রাখা নিয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য এলেও ‘না রাখার’ পাল্লা ভারী। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও না রাখার পক্ষে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গত কাউন্সিলের আগে ‘এক নেতার এক পদ’-এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু কিছু লোকের কারণে তা হয়নি। তবে সামনের কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে নিশ্চিত।

এই মুহূর্তে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা না করার বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাতীয় কাউন্সিল ঘিরে সরকারের তরফে কাউন্সিলরদের হয়রানি করা হতে পারে এমন আশঙ্কা মাথায় নিয়ে এখনই তারিখ ঘোষণা করতে চাইছে না বিএনপি। সে ক্ষেত্রে চাহিদামতো ভেন্যু নিশ্চিত হলে পরে তারিখ চূড়ান্ত করে ঘোষণা দেয়া হতে পারে।

বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় কাউন্সিলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত হবে। ওই কমিটির মেয়াদ তিন বছর। সে হিসাবে গত ডিসেম্বরের মধ্যে দলটির দুটি কাউন্সিল হওয়ার কথা হওয়ার কথা ছিল।

সময়মতো কাউন্সিল না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দলটি চলছে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব দিয়ে। মহাসচিবসহ দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটির তিনজন মারা গেছেন। আরও দুই থেকে তিনজন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। এই অবস্থায় দল পুনর্গঠন জরুরি হয়ে পড়েছে বলে দলের নেতারা বলে আসছিলেন।

এবারের কাউন্সিলে শীর্ষ কিছু পদে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তরুণদের অনেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেতে পারেন বলে জানা গেছে।



মন্তব্য চালু নেই